নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি থেকে বহিষ্কারের খবর পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্টাটাসে মেজর (অবঃ) আক্তারুজ্জামান রঞ্জন বলেন, খবরটা শুনে প্রথমে হাসিই পেল এবং তারপরে ভেবে ভালোই লাগলো যে এখনও বিএনপিতে আমার গুরুত্ব ছিল! তারপরে খুব কষ্ট পেলাম। কষ্ট কেন পেলাম তা আর কারো সঙ্গে শেয়ার করতে ইচ্ছা করলাম না। যাই হোক দেশমাতা খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করি এবং সেই সাথে তারেক রহমানের সফলতা কামনা করি।
বহিষ্কারের বিষয়ে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান বলেন, আমাকে দল ক্ষমতায় থাকতেও বহুবার বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু আমি দল এবং দলীয় আদর্শচ্যুত হইনি। কেন না আমি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের রাজনীতি করি। আর এ কারণেই মাঝেমধ্যে অসহ্য যন্ত্রণায় সত্য কথা এবং সমালোচনা করে দলের সুবিধাভোগীদের শ্যেন দৃষ্টির শিকার হই। তবে, কথা একটিই আমি বিএনপিতে ছিলাম, আছি এবং থাকব।
জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামানকে দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আক্তারুজ্জামানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাম প্রকাশ করবে না সার্চ কমিটি
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করার অভিযোগে ইতোপূর্বে বহিষ্কৃত মুন্সীগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মেজর (অব.)আখতারুজ্জামান এর আগেও এমন সব অভিযোগে দল থেকে চারবার বহিষ্কৃত হয়েও ২০১৮ সালের বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসন থেকে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য দেবে সরকার
তবে ওই নির্বাচনের চার দিন আগে ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর এ আসনের কটিয়াদী উপজেলার বীর নোয়াকান্দি গ্রামে এক উঠান বৈঠকে উপস্থিত হলে সাদা পোশাকের একদল পুলিশ ওই বৈঠকে হাজির হয়। এ সময় তারা ওই বৈঠক পণ্ড করে দেয়।
এ হামলায় মেজর আক্তার রক্তাক্ত জখমের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন। এমনকি ওই বৈঠক থেকে তার ছেলে হাবিবুজ্জামান রনিসহ তিন নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এমন আতঙ্ক-উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার মধ্যে অনুষ্ঠিত সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক আইজিপি ও রাষ্ট্রদূত নূর মোহাম্মদের কাছে হেরে যান মেজর (অবঃ) আক্তারুজ্জামান রঞ্জন।
সান নিউজ/এমকেএইচ