নিজস্ব প্রতিবেদক: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সার্চ কমিটির কাছে আমি আট জনের নাম বলেছিলাম। আমি কাউকে জিজ্ঞেস করে নাম দেই নাই। হঠাৎ হানিফ আবিষ্কার করলেন এটা বিএনপির দেওয়া নাম। এই মিথ্যাচার কেন করলেন? এই ভুল তথ্য কেন দিলেন? এটা আমি জানি না। আমার সাথে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কারও সাথে গত তিন মাসে কথাও হয়নি। আলাপ দূরের কথা। হানিফ আরেকটা ভুল কথা বলেছেন। বলেছেন আমি খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। আমি কোনো দিন বিএনপি সদস্য ছিলাম না, উপদেষ্টাও ছিলাম না।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত ‘কাশ্মীর ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি বক্তব্য দেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের সভাপতি কে. এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত সাকিব আলী, ব্যারিস্টার মেজর (অব) সরোয়ার, ভাসানী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উইং জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন, আমিও সার্চ কমিটিতে যে দশ জনের নাম প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠাবেন তা আগেই জনগণের সামনে প্রকাশ করুন। জনগণকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দিতে হবে। সার্চ কমিটি যতই সার্চ করুক জনগণের চেয়ে বেশি সার্চ তারা করতে পারবে না। জনগণ হলো আসল সার্চের মালিক। তিন দিন আগে এই দশ জনের নাম প্রকাশ করা হলে তাদের সম্পর্কে আমরা সব তথ্য দিতে পারব। গোয়েন্দা বাহিনী যে তথ্য দিতে পারে না। জনগণ সে তথ্য দিতে পারবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সার্চ কমিটির কাছে আমি আট জনের নাম বলেছিলাম। আমি কাউকে জিজ্ঞেস করে নাম দেই নাই। হঠাৎ হানিফ আবিষ্কার করলেন এটা বিএনপির দেওয়া নাম। এই মিথ্যাচার কেন করলেন? এই ভুল তথ্য কেন দিলেন? এটা আমি জানি না। আমার সাথে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কারও সাথে গত তিন মাসে কথাও হয়নি। আলাপ দূরের কথা। হানিফ আরেকটা ভুল কথা বলেছেন। বলেছেন আমি খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। আমি কোনো দিন বিএনপি সদস্য ছিলাম না, উপদেষ্টাও ছিলাম না। কিছু হলেই বলা হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। বঙ্গবন্ধুর কথা শুনি না, কিন্তু তাকে পূজা করি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা নিহত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, প্রথমবার তিনি (শেখ হাসিনা) যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন নিয়ম ছিল সপ্তাহে একদিন যে কেউ তার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। কিন্তু এখন তিনি সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা দলের কারো সাথেও দেখা করেন না। অন্তরীণ হয়ে আছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন করে শেখ হাসিনা ইতিহাসের অংশ হতে পারেন। আপনি (শেখ হাসিনা) ভয় পাবেন না। আপনার কিছু হবে না। শুধু একটা মামলা হবে, সেটা হলো অপচয়ের। আমি জানি না আপনি কোনো দুর্নীতি করেছেন কিনা। তবে এতটুকু বলবো, খালেদা জিয়ার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, সেটা আপনার সঙ্গে হবে না। যদি হয়, তাহলে আমি আপনার পাশেই দাঁড়াবো।
বিএনপি উদ্দেশ্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এখন থেকেই রাজপথে আন্দোলন শুরু করুন। দলীয় সরকারকে হটাব, নির্বাচন করব। এই হোক আপনাদের স্লোগান। এখন থেকেই আন্দোলন করুন, আমাদের পাশে পাবেন।’
আরও পড়ুন: ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টায় বিএনপি
ডিজিটাল সিকিউরিটির আইনের ভয়ে কেউ মুখ খুঁলে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল আইনকে ধ্বংস করতে হবে। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসতে চান তাহলে সবাইকে নিয়ে আন্দোলনে যেতে হবে। এবং পরিষ্কারভাবে বলতে হবে যে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন কবরে পাঠানো হবে৷ পরিস্কারভাবে বলতে হবে র্যাবকে বিলোপ করা হবে৷ খালেদা জিয়ার দুই ভুলের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ক্লিন হার্ট অপারেশন করে তিনি ভুল করেছিলেন। আরেকটা ভুল করেছিলেন, সালমানে কথা শুনে ওষুধের দাম উঠিয়ে৷
সান নিউজ/এমকেএইচ