নিজস্ব সংবাদদাতা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছেন ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার ছাড়া বিএনপির কোনও রাজনৈতিক ভিত্তি নেই।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জনগণের মধ্যে কোনও আবেদন তৈরি করতে না পেরে বা জনস্বার্থে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ না করে বিএনপি নেতৃবৃন্দ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে লাগাতারভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিয়ে চলেছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে উন্মত্ত বিএনপি নেতৃবৃন্দের এমন নির্লজ্জ ও বেপরোয়া আচরণ বরাবরের ন্যায় জাতি এখনও প্রত্যক্ষ করছে। ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার ছাড়া বিএনপির কোন রাজনৈতিক ভিত্তি নেই।’
একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আশা রাখি, সার্চ কমিটির সদস্যরা তাদের নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে সক্ষম হবেন।
তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা কার্যপ্রণালী সমাপ্ত করার পূর্বেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সার্চ কমিটি নিয়ে লাগামহীন মন্তব্য করে চলেছেন। সার্চ কমিটির অনুসন্ধান প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় সার্চ কমিটি গঠন এবং তার সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন এবার একটি সুর্নিদিষ্ট আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে।
অথচ আমরা দেখেছি, ২০০৫ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন অবস্থায় তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কীভাবে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় বিচারপতি এম এ আজিজকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল!
গণতান্ত্রিক রীতিনীতি তো দূরের কথা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা প্রদর্শন না করা বিএনপির কাছে বর্তমান সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে সুদীর্ঘ গণতান্ত্রিক ও আইনি প্রক্রিয়াকে তামাশা বলেই মনে হবে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের শত্রু বিএনপি যতই পোশাকি গণতন্ত্রের আবরণে ছদ্মবেশ ধারণ করে নিজেদের লুকানোর চেষ্টা করুক না কেন, জাতির কাছে তাদের স্বরূপ অনেক আগেই উন্মোচিত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের মানুষের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের হাত ধরে।
জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘ দিনের স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ও অগণতান্ত্রিক চর্চার প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: হিজাব ইস্যুতে ওআইসি'র কড়া সমালোচনা
তিনি বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এদেশের জনগণ পুনরায় নসাৎ হতে দেবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে কোনো মূল্যে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। সূত্র: বাসস।
সান নিউজ/ এইচএন