নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আজ বিকেলে জিনজিরা দলটির পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আহুত সংবাদ সম্মেলনের পর বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশ বাধা দেয়।
এ সময় বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীরা রাস্তায় বসে পড়েন। পাশাপাশি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন।
একপর্যায়ে নিপুণ রায়চৌধুরীর নেতৃত্বে জিনজিরাস্থ পার্টি অফিস থেকে মিছিল নিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার দিকে যেতে চায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির মিছিল।
তখন পুলিশ বাধা দিলে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ হয়।
বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য বিএনপির ওপর লাঠি চার্জ করেন।
এই ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজ্জাদ্দেদ আলী বাবু, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সহসভাপতি হাজি ওমর শাহনেওয়াজ, যুবদল নেতা মোক্কারম হোসেন সাজ্জাদ, মো. স্বাধীন ও কৃঞ্চসহ ১০ জন আহত হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অ্যাডভোকেট নিপুণ রায়চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে কোন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর হোসেন নুরুর বৃদ্ধ মাকে দেখার জন্য তার বাড়িতে যাই।
এ সময় পরিকল্পিতভাবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম আহমেদ নীরবের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা নুরুর বাড়িতে অতর্কিতভাবে হামলা ও ভাঙচুর করে।
ছাত্রলীগের হামলায় বিএনপি নেতা নুরুর বৃদ্ধ মা খুরশিদা বেগম, জেসমিন হোসেন, রাবেয়া বেগম, আসমা বেগম ও রুনা আক্তারসহ ১০ জন আহত হয়।
এই হামলার প্রতিবাদে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন নীরবের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম মামুন বিষয়টিকে নিয়ে বলেন, কোন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কোন্দল চলছিল।
বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়চৌধুরী কোন্ডা ইউনিয়নে গেলে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা জসিম উদ্দিন নীরব ঘটনাস্থলে যায়। এর কারণে ছাত্রলীগ নেতা নীরবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন।
আরও পড়ুন: অনেকে এখন মুক্তিযোদ্ধা হতে পাগল
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) সাহাবুদ্দিন কবীর এ ঘটনায় বিষয়ে বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা কোনো অনুমতি না নিয়ে রাস্তায় মিছিল ও অবরোধ করেন। তাই তাদেরকে রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার জন্য বলা হলে তারা পুলিশকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
সান নিউজ/ এইচএন