নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসির সার্চ কমিটিতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নাম প্রস্তাবকে বিএনপির ‘রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি’ বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মাধ্যমে বিএনপি সার্চ কমিটির কাছে নাম প্রস্তাব করেছে।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে খুলনা বিভাগীর সাংগঠনিক আলোচনা শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি বলেছে তারা সার্চ কমিটিতে নাম দেবে না। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব কার? আমরা তো জানতাম উনি খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। তিনি যদি নাম দেন, সেই নামটা বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া হয় না? ডা. জাফরুল্লাহ যে নাম দিয়েছেন- সেটা কি বিএনপির নাম নয়? আমরা তো সেটা বলতে পারি।’
এর আগে খুলনা বিভাগের অন্তর্গত সাংগঠনিক জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, দলীয় সংসদ সদস্য এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সারের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আসেনি
বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন, পারভিন জামান কল্পনা ও অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা।
বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভা হয়েছে। আমাদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনা সেখানে কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই দিক নির্দেশনার আলোকে আমাদের আজকের এই ভার্চুয়াল সভা। মূল লক্ষ্যটা হচ্ছে, তৃণমূল পর্যায়ে নেত্রীর যে নির্দেশনা ছিল, সম্মেলন করা ও সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে সাজানো।
আরও পড়ুন: করোনায় কমেছে মৃত্যু ও শনাক্ত
তারা বলেন, ‘যারা দলের নির্দেশনা মানে না, তাদের বিষয়ে তো আমাদের আগে থেকেই নির্দেশনা আছে। যারা বহিষ্কার হয়েছে, সাময়িক বহিষ্কার হয়েছে, শোকজ হয়েছে, তাদেরটা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের নেতৃত্বে আনা যাবে না। এ বিষয়গুলোকে সামনে রেখে দলকে গণমুখী করা, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে ঢেলে সাজানো যাতে দলের নতুন নেতৃত্বের ওপর জনগণের প্রত্যাশার জায়গাটা আরও শক্তিশালী হয়, সুদৃঢ় হয়। এ লক্ষ্যে দলকে সম্মেলন করতে হবে।’
সভায় জানানো হয়, খুলনা বিভাগের চার জেলায় সম্মেলন বাকি আছে। বাকি আটটি সাংগঠনিক জেলায় সম্মেলন হলেও অনেক উপজেলা সম্মেলন বাকি আছে। আগামী তিন মাসে অর্থাৎ মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসের মধ্যে সবগুলোর সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে। রোজার মাসেও কিছু উপজেলার সম্মেলন হবে।
সান নিউজ/এমকেএইচ