নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি বিদেশে যে পাঠিয়েছিল তা লবিস্ট নিয়োগের জন্য নয়, এই চিঠি ছিল মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান মাত্র, এমনটাই বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গুলশালে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে কথা বলছেন সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী। এই চিঠি দেখিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। আপনারা দেখুন, কাকে লেখা হয়েছিল এবং চিঠির বিষয়বস্তু কী ছিল।
তিনি বলেন, বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার সব ব্যক্তির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থল। মানবাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সবচেয়ে বড় ভ্যানগার্ড। আর তাই বিএনপি তার আন্দোলন-সংগ্রামের অংশ হিসেবেই দেশের ডেভেলপমেন্ট পার্টনারদের সমর্থন চায়। মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে দেশি-বিদেশি সব অংশীদারকে এই সরকারের সব অপকর্ম সম্পর্কে অবগত করে রাখতে চাই। বিদেশ লেখা আমার চিঠিসমূহ কোনো লবিস্ট নিয়োগের বিষয় নয়, মানবাধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান মাত্র।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল- এই তিন বছরে সজিব ওয়াজেদ জয়ের সংশ্লিষ্টতায় ৯০ লাখ (৯ মিলিয়ন) ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছিল বিএনপির বিরুদ্ধে। যার প্রমাণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েব পেজে আছে। বিএনপি জানতে চায়, সজিব ওয়াজেদ জয়ের ঐ টাকার উৎস কী ছিল, কীভাবে ঐ টাকা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় গিয়েছিল?
তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখছেন, আমরা বলতে চাই দেশের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রবাসী কোনো পদক্ষেপ কোথাও নেয়, দেশের প্রতি তার ভালোবাসার জন্য যদি কিছু করে, সে পদক্ষেপের দায়িত্ব তার, বিএনপির নয়। ঐ পদক্ষেপকে নৈতিক সমর্থনের দায়িত্ব বাদে অন্য কোনো দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। বিশ্বের দেশে দেশে প্রবাসীদের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার রক্ষার জন্য এ ধরনের দেশপ্রেমিকের পদক্ষেপকে বিএনপি সাধুবাদ জানায় এবং তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।
সাননিউজ/জেএস