নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সংসদ অধিবেশন চলাকালে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি শুরুতে চাপা থাকলেও গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধে পরে তিনি তা স্বীকার করেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘একজন মা যেভাবে সন্তানকে দোয়া করেন, আমাকে ঠিক সেভাবেই প্রধানমন্ত্রী দোয়া করেছেন। তার সেই দোয়ার পর আমার সব কষ্ট দূর হয়ে গেছে। এছাড়া দোয়ার আগে তিনি সদ্য অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কৃতিত্ব শামীম ওসমানকে দিয়ে বলেছেন, অল থ্যাংকস টু ইউ।’
শামীম ওসমান বলেন, করোনার কারণে সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর ৫ থেকে ৭ ফুট কাছে কেউ যেতে পারে না। বিরতির সময়ে আমি তার পেছনের সিটে বসা ছিলাম। ওই সময়ে আমার পাশে আইনমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকান। তখন আমাকে দেখে বলেন, অল থ্যাংকস টু ইউ। শুরুতে আমি ভেবেছিলাম হয়তো আইনমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন। যেহেতু আজকে একটি আইন পাস হয়েছে। কিন্তু পরক্ষণে তিনি আবার বলেন, সমস্ত থ্যাংকস শামীম ওসমানকে।
তিনি বলেন, আমাকে ধন্যবাদ দেওয়ার পরে আমি কাছে যাই। তখন আমি আমার কিছু কষ্টের কথা বলি। আমার বাবা-মা ও ভাইদের কিছু ঘটনার (কবরস্থানে শশ্মানের মাটি ফেলা) কষ্ট শেয়ার করি। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কষ্ট নিও না। আল্লাহ ওনাদের বেহেশত নসিব করবেন। আর ওনারা তো (খান সাহেব ওসমান আলী, এ কে এম সামসুজ্জোহা, নাগিনা জোহা, নাসিম ওসমান) তো শুধু তোমার বাবা-মা না। আমাদের পেছনেও তাদের অবদান আছে। তোমার বাবা (এ কে এম সামসুজ্জোহা) আমাদের মুক্ত করতে গিয়ে রক্ত দিয়েছেন। আল্লাহ চাচাকে বেহেশত নসিব করুন। চাচির (নাগিনা জোহা) কাছে আমরা মানুষ হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কথার শেষের দিকে তিনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। তিনি আমাকে প্রাণভরে দোয়া করেছেন। একজন রাজনীতিকের কাছে এর চেয়ে বড় পাওনা আর কী হতে পারে। উনি আমাদের দেশের অভিভাবক। ওনার সঙ্গে দেশের ১৬ কোটি মানুষের দোয়া রয়েছে। ওনার দোয়া মানে সকলের দোয়া। এটা আমার জীবনে সবচেয়ে বড় একটি পাওনা।
সাননিউজ/জেএস