নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, গুজব ছড়ানো হচ্ছে- আমি নাকি বসে পড়ব। বসে পড়ার জন্য নির্বাচনে নামিনি। নির্বাচন করার জন্য নেমেছি। আমি একটা দল করি। আমি বিএনপির একজন সক্রিয় সদস্য। এই দলের জন্য রাজপথে গুলিবিদ্ধ হয়েছি। মিডিয়াতে দেখেছেন পুলিশ কতবার শারীরিকভাবে নির্যাতিত করেছে। তখন আমি দলের ক্যান্ডিডেট ছিলাম। নেত্রীর নির্দেশে আমি সরে দাঁড়াই। আজ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করিনি কেন আমাকে সরিয়ে দেওয়া হলো। কারণ, আমি মনে করি, আমি দল করি, দলের প্রতি আমার অনুগত থাকা দরকার। ২০১৬ সালে আমাকে মনোনীত করা হলেও আমি নির্বাচন করিনি। শহরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের জন্যেই আজ আমাকে নির্বাচনে নামতে হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তৈমূর বলেন, নারায়ণগঞ্জে যদি জনতার রায়ের মাধ্যমে আশার প্রতিফলন ঘটে, তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। নির্বাচন কমিশনকে আমরা অত্যন্ত আস্থার সঙ্গে অনেকগুলো অভিযোগ করেছিলাম, সেগুলোর ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং সে সব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এটা থেকে বোঝা যায় নির্বাচন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথ।
তৈমূর আরও বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক তার কিছু সঙ্গী নিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি অবশ্য বলেছেন, তিনি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে যাননি। কিন্তু তার বক্তব্য ও দেখা করতে যাওয়ার সময়ের সঙ্গে কোনো সমন্বয় নেই। প্রথমত তিনি নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেন না। তিনি নারায়ণগঞ্জের নাগরিকও নন। এটা আইনগনভাবে আমি অন্যায় মনে করি। তিনি জনমনে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছেন। এমন একজন উচ্চ পর্যায়ের সম্মানিত নেতার কাছ থেকে আমরা এটা আশা করি না।
তৈমূর বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জনগণ সন্দিহান হয়ে পড়েছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, নারায়ণগঞ্জের মানুষ প্রত্যাশা করে আপনি এ দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার মালিক হয়ে নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন, স্বচ্ছ এবং সুন্দরভাবে করার জন্য ব্যবস্থা নেবেন।
তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, নারায়ণগঞ্জের হোটেলগুলো চেক করলেই দেখবেন বিভিন্ন জেলার সরকার দলীয় নেতারা সেগুলোতে অবস্থান করছেন। সার্কিট হাউস ও ডাকবাংলোকে নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী এক্ষেত্রে সরকারি কোনো গাড়ি বা কোনো ডাকবাংলো ব্যবহার করার নিয়ম নেই। এটা আচরণবিধির লঙ্ঘন। এভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেই আমাদের সরকারি দলের মেহমানরা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও তৈমূরের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট এ টি এম কামালসহ স্থানীয় বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/এনকে