নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সোয়া এক কোটি ভূয়া ভোটার সৃষ্টি করে বিএনপিই গণতন্ত্রের কবর রচনা করতে চেয়েছিল। আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক এবং লুটপাটের রাজনীতির জনক বিএনপি। মুখে গণতন্ত্রের বুলি ছাড়লেও অন্তরে সাম্প্রদায়িকতা আর সুবিধাবাদ লালন করে।’
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) ওবায়দুল কাদের তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি। তবে নেতিবাচক রাজনীতি থেকে সরে এসে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপি এগিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের।
কেউ সংলাপে আসুক বা না আসুক, নির্বাচন কমিশন গঠন থেমে থাকবে না মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, গতবারও বিএনপির তালিকা থেকে একজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির সংলাপ অর্থহীন এবং এই সংলাপে সংকটের সমাধান হবে না, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এর আগেও নির্বাচন কমিশন গঠনে যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে, এবারও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়ে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা যাবে না। নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হলে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হবে বিএনপি কি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন চায়, নাকি বিতর্ক সৃষ্টি করতে চায়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতারা এখন সাইড লাইনে। যার বা যাদের নির্দেশে দল চলছে, তারা মাঠের বাস্তবতা বোঝে না। জনগণের সাথেও সম্পৃক্ততা নেই। যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল এবং লুটপাটে লেগে যাওয়াই এখন বিএনপির একমাত্র টার্গেট।
বিএনপির বহুদলীয় তামাশা আর ভোটারবিহীন নির্বাচনই দেশকে গণতন্ত্র থেকে ছিটকে দিয়েছিল বলেও মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার নয়, মিথ্যাচার আর বিএনপি এখন সমার্থক শব্দ। বিএনপি নেতাদের অবিরাম মিথ্যাচারের দাপটে এখন আর তাদের বক্তব্যে সত্যের লেশমাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। বেগম জিয়ার মামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তারা মিথ্যাচার আর অপরাজনীতির উপরই ভরসা করে চলেছে।’
বিএনপি নেতারা বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়েও অতিরাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তারা চিকিৎসার চেয়ে রাজনৈতিক ফয়দা হাসিলকেই অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছে। শেখ হাসিনাই বেগম জিয়ার প্রতি উদারতা এবং মানবিকতার নজির স্থাপন করেছেন। অথচ সেই কৃতজ্ঞতাবোধও বিএনপিতে নেই।
সান নিউজ/এমকেএইচ