নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে গণতান্ত্রিক পরিসরটাকে একেবারে সংকুচিত করে ফেলেছে। আমরা যে কর্মসূচিগুলো করছি এগুলো একেবারেই শান্তিপূর্ণ। অথচ তারা আইনশৃঙ্খলাবাহিনী পরিকল্পিতভাবে এগুলোতো বাধা দিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে সংকুচিত করে ফেলেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানস্থ চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক, আব্দুল মুক্তাদির চৌধুরী, সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে হবিগঞ্জের সমাবেশে অংশ নেওয়া দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবেদিন, খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরসহ স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আখতার ঘটনার বর্ণনা দেন। তারা অভিযোগ করেন, ‘জনস্রোত’ ঠেকাতে স্থানীয় পুলিশ পরিকল্পিতভাবে ‘হামলা’ চালিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে দেশব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সাতটি জেলায় সমাবেশ ছিল। এর মধ্যে ছয়টিতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে পারলেও হবিগঞ্জে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে হামলা করে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করেছে। এর মধ্যে দশজনের অবস্থা গুরুতর।
তিনি আরও বলেন, হবিগঞ্জে ১২শ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি।… পুলিশ অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে। হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শফিকুর ইসলাম সেতু, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহসান রিংগন, যুগ্ম সম্পাদক সাইদুর রহমান মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। সাইদুর রহমানের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অবিলম্বে হবিগঞ্জের এসপি মুরাদ আলী, ওসি নাজমুল হাসান, ওসি মাসুক আলীর অপসারণ দাবি করছি। একইসঙ্গে একটা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি করছি। আর এই ভয়াবহ অত্যাচার, নির্যাতন, গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে আগামী ২৪শে ডিসেম্বর সিলেট বিভাগের উপজেলাগুলোতে এবং ২৫শে ডিসেম্বর সিলেট বিভাগের জেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনার একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখবেন, হবিগঞ্জে যে গুলিবর্ষণ হয়েছে এর মূল কারণটি ছিল হবিগঞ্জে যেহেতু আমাদের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। আর সেই জায়গাতেই তার আঘাত করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা একটা কথা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, এইভাবে দমন-পীড়ন করে, অত্যাচার করে, গুম করে কখনোই জনগণের যে ন্যায় সঙ্গত দাবি, গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য আমাদের সে আন্দোলন কখনোই দমন করা যাবে না। আমাদের কর্মসূচিতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রমাণ করে জনগণ এ সরকারকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছে।
সান নিউজ/এমকেএইচ