নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএনপি।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ডা. মুরাদকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ নির্দেশনা পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বিএনপির নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা শুধু তার পদত্যাগের দাবি করি নাই, একইসঙ্গে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতেও বলেছি। তিনি যে ভাষায় জিয়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মন্তব্য করেছেন, তা কোনো সভ্য মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে, তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, জিয়া পরিবার নিয়ে মুরাদ যেভাবে কথা বলেছেন, তা পুরোপুরি নারী সমাজের জন্য লজ্জার বিষয়। তারপরও সরকার একটি ভালো কাজ করেছে, তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে।
বিভিন্ন সময় আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন মুরাদ হাসান। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেত্রীদের নিয়েও আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে মুরাদের পদত্যাগ দাবি করেন ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন বর্তমান এবং সাবেক নেত্রী।
এরপর থেকেই মুরাদ হাসানের পদত্যাগের দাবি আরও জোরালো হয়ে ওঠে।
এরই মধ্যে রোববার মধ্যরাতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে মুরাদ হাসানের আপত্তিকর ফোনালাপ ফাঁস হয়। মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়ে যায় এটি।
ভাইরাল হওয়া সেই অডিওর সত্যতা নিশ্চিত করেন চিত্রনায়ক ইমন। তিনি জানান, ঘটনাটি দুই বছর আগের।
সাননিউজ/জেআই/এমআর