নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও আমাদের বলতে হচ্ছে, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর হতে পারে না।
তিনি বলেন, এখন রাস্তায় নেমেই কেউ শ্লোগান দিতে পারে না স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। এ থেকেই বোঝা যায় দেশের মানুষ কতটা গণতন্ত্র ভোগ করছে। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর সাংবিধানিকভাবেই রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তর করেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পল্লীবন্ধুর ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকেই স্বৈরাচারের উত্থান আর গণতন্ত্র নিপাত যেতে শুরু করেছে।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, দেশে সাংবিধানিকভাবেই একনায়কতন্ত্র চলছে। একটি দলের প্রধান সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দেশের নির্বাহী বিভাগের প্রধান হন তিনি।
কাদের বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রবেশদ্বার। তাই সঠিকভাবে নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় না। এ কারনেই, জাতীয় পার্টি সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন আইন প্রনয়নের দাবি করে আসছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের মানুষের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করে মুক্তিযুদ্ধে মূল চেতনা ধংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে গণতন্ত্রের পতন হয়েছে। দেশের মানুষের জন্য মঙ্গলময় রাজনীতির পতন শুরু হয়েছে। আর উত্থান হয়েছে স্বৈরতন্ত্রের।
মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের ৯০ ভাগ মানুষের প্রত্যাশা পূরণের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম ঘোষণা করেছে। যতদিন বাংলাদেশে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব থাকবে ততদিন কেউ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করতে পারবে না। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করতে আওয়ামী লীগ বিএনপি এক হয়ে অপচেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হয়নি।
সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা উপস্থিত ছিলেন, মাননীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার শামীম, মনিরুল ইসলাম মিলন, এড. লাকী বেগম, মোঃ হারুন আর রশীদসহ আরও অনেকে।
সাননিউজ/জেআই