নিজস্ব প্রতিবেদক: রামপুরায় বাস চাপায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসে আগুন দেওয়া পরিকল্পিত কিনা, এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত 'ফাইভ জি : দ্য ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি' শীর্ষক সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
কাদের বলেন, এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি পূর্বপরিকল্পিত। রাত ১১টায় জামায়াত পরিচালিত টেলিগ্রাম চ্যানেলে খবরটি প্রকাশিত হয় এবং দুর্ঘটনার স্থান থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই প্রায় ১৫টি বাসে আগুন দেওয়া শেষ হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিষয়টি আসলেই দুর্ঘটনা কি না?
তিনি বলেন, ঘটনার ১২ মিনিটেই নিরাপদ সড়ক চাই পেজ লাইভে গেল কীভাবে? নাকি তারা আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল? বাশেরকেল্লা ১৫ মিনিটের মধ্যেই সব খবর পেয়ে গেল কীভাবে? আর বাকি ১০ মিনিটে ১৫টি গাড়িতে আগুন কীভাবে দেওয়া হলো?
ওবায়দুল কাদের বলেন, এত মানুষ রাত ১১টার পর ঘটনাস্থলে এলো কীভাবে? তাহলে তারা কি আগেই প্রস্তুত ছিল? সেনাবাহিনী, পুলিশ বা ফায়ার বিগ্রেড এত তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে পারে না, যত দ্রুত গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। এত রাতে অল্পবয়সী শিক্ষার্থীরা কি এত দ্রুত পৌঁছে গেছে?
তিনি বলেন, এমনিতেই সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে আন্দোলন চলছে। যারাই দুর্ঘটনাকবলিত হচ্ছে, তারা সবাই শিক্ষার্থী? গাড়িতে কি ছাত্র ছাড়া অন্য যাত্রী থাকে না? বিষয়টি মোটেই দুর্ঘটনা নয়। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর।
ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে গভীর শোকাহত ও ব্যথিত হয়েছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে, এর ১২ মিনিট পর ১০টা ৫৭ মিনিটে নিরাপদ সড়ক চাই ফেসবুক পেজের মাধ্যমে উক্ত স্থান থেকে লাইভ করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ১৭টি বাসে আগুন দেওয়া হয় এবং অসংখ্য গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
কাদের জানান, ২০২৩ সালের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে ফাইভ-জি সেবা দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহর, শিল্প প্রতিষ্ঠাননির্ভর এলাকায় বিস্তারের পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এ পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সান নিউজ/এস