নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণ নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে রাজশাহীর কাটাখালি পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টায় রাজধানী কাকরাইলের হোটেল রাজমনি ইশা খাঁ থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মেয়র আব্বাস আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে ২৪ নভেম্বর দলীয় কার্যালয়ে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠকে আব্বাসকে পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণকে কেন্দ্র করে কটূক্তি এবং সেটি নির্মাণে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য দেন নৌকা প্রতীকে দু’বারের নির্বাচিত মেয়র আব্বাস আলী। তার দেয়া এমন বক্তব্যে রাজশাহীজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাতে বিভিন্ন সময়ে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া, বোয়ালিয়া ও চন্দ্রিমা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়। রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজদার রহমান সরকার। তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলীর সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আব্বাস আলীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে কেন দলীয় সদস্য পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শণের নোটিশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণকে কেন্দ্র করে কটূক্তি এবং সেটি নির্মাণের প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য দেন নৌকা প্রতীকে দুই বারের নির্বাচিত মেয়র আব্বাস আলী। সোমবার রাত থেকে অডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।এরপর তার ফাঁস হওয়া অডিও ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ইসলামের দৃষ্টিতে পাপ— সেজন্য রাজশাহী সিটি গেটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল না বসানোর নির্দেশ দেন এই মেয়র। যা জীবন দিয়ে হলেও প্রতিহত করার ঘোষণা দেন তিনি। তার এমন বক্তব্যে রাজশাহীজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
তাকে দল থেকে বহিষ্কার এবং মেয়র পদ থেকে অপসারণের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। তবে পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন মেয়র আব্বাস।
সান নিউজ/এএএইচ