নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কথা বলেছেন। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এ কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মেয়ে মাহমুদা খানম ভাসানী। হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসে তিনি এ কথা জানান।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় ভাসানীর পরিবারের পাঁচ সদস্য খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। ৩০ মিনিট তারা হাসপাতালে অবস্থান করেন।
এ সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান, বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
মাহমুদা খানম ভাসানী বলেন, বেগম জিয়া কথা বলতে পারছেন, তবে খুব ধীরে ধীরে। তিনি খুবই দুর্বল। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাকে বিদেশে পাঠিয়ে সুচিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
ভাসানীর নাতি হাবিব হাসান মনার বলেন, আমরা খালেদা জিয়াকে দেখতে গিয়েছিলাম। তার ডাক্তাররা বলেছেন, বেগম জিয়ার অবস্থা খারাপ। তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানাই ভাসানী পরিবারের পক্ষ থেকে।
নাতি মাহমুদুল হক শানু বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী আজীবন মজলুমের পক্ষে লড়াই করেছেন। যেখানে অন্যায় সেখানেই তিনি ছিলেন প্রতিবাদী কণ্ঠ।
পাকিস্তান সরকারের ফাঁসির দড়ি থেকে তিনি যেমনিভাবে শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্ত করেছিলেন, তেমনি দেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অসংখ্য নেতাকর্মীকে নিপীড়নের হাত থেকেও তিনি রক্ষা করেছিলেন। খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য মওলানা ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা সরকারের কাছে আমাদের জোর দারি জানাচ্ছি।
খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওয়া ভাসানীর পরিবারের অন্য সদসরা হলেন- ভাসানীর বড় মেয়ে রিজিয়া ভাসানী, নাতনি সুরাইয়া সুলতানা।
সান নিউজ/এনকে