নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রস্তাবিত ২০২০-২০২১ বাজেট গতানুগতিকতার গণ্ডিতে আটকে রয়েছে বলে মনে করছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার প্রস্তাবিত আগামী বাজেট নিয়ে এমই মন্তব্য করেছেন।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা বলেন, সবাই আশা করেছিল বৈশ্বিক মহামারি ও জাতীয় বিপর্যয়ের মধ্যে এবারের বাজেট গতানুগতিকতার বাইরে নতুন দিক উন্মোচনকারী বাজেট হবে। সার্বজনীন স্বাস্থসেবা ও সার্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ধারাবাহিক প্রচেষ্টার শুরু এবারের বাজেট থেকেই হওয়া উচিৎ ছিল। বাজেটে স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি, খাদ্য, শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বরাদ্দ কিছু বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হলেও তা খুবই সামান্য।
তারা বলেন, স্বাস্থসেবা খাত ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে যতটুকু বরাদ্দ বেড়েছে সেটাও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিভাবে ব্যয় হবে তা পরিস্কার না। নতুন করে যারা কর্মহীন ও আয়হীন হয়েছে বা হবে তারা কিভাবে সামাজিক সুরক্ষা খাতে অন্তর্ভুক্ত হবেন সেটাও পরিষ্কার নয়। শহর থেকে ২ কোটি মানুষ গ্রামে ফিরে যাবার যে আশংকা তৈরি হয়েছে তাদের কর্মসংস্থানসহ গ্রামীন অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য পল্লী উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর বদলে কমানো হয়েছে।
তাই এককথায় বলা যায়, বাজেট প্রস্তাব গতানুগতিকতার গন্ডিতে আটকে আছে। তাঁরা বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষমতা এবং ভয়ংকর দূর্নীতি দূর করে সুশাসন নিশ্চিত করাই সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
জাসদ করোনা জরুরি তহবিলে ১০ হাজার কোটি টাকা, ঔষধসহ চিকিৎসা সামগ্রীর উপর ট্যাক্স কমানো, বিলাস দ্রব্যের ওপর ট্যাক্স বাড়ানোকে স্বাগত জানায়।
তারা কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো ও কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে। দলটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতে, বাংলাদেশ সুপরিচিত /অতিধনীদের দেশে পরিণত হয়েছে। তাঁরা বলেন, দেশে ৫ লাখ ব্যক্তি আছে যারা ১ কোটি টাকা ব্যক্তিগত আয়কর দিতে পারেন, কিন্তু দেন না। জাসদ এই ৫ লাখ মানুষের তালিকা করে তাদের কাছ থেকে ৫ লাখ কোটি টাকা ট্যাক্স আদায়ের কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানায়।
সান নিউজ/ আরএইচ