নিজস্ব প্রতিবেদক: চারদলীয় জোট সরকার দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির বিভিন্ন কাজে ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়ম করেছিলো। এ ঘটনায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অভিযুক্ত করে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ছিলো রোববার (৩১ অক্টোবর)। কিন্তু সেই শুনানি হচ্ছে না। আদালত আগামী ১ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন পেছানোর জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন দিন ধার্য করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ-২ এর আদালত। খালেদার আইনজীবী অ্যাডভোকেট হানান ভুঁইয়াও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, উল্লিখিত খনি থেকে কয়লা তোলা, রক্ষণাবেক্ষণ ও ঠিকাদনার নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সংশ্লিষ্টরা রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ অভিযোগে দুদক ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করে শাহবাগ থানায়। একই বছরের ৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
অন্য আসামিরা হলেন—জোট সরকারের প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, তৎকালীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া এবং যুদ্ধাপরাধে মৃত্যদণ্ড কার্যকর হওয়া শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ, এম কে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মৃত্যুর কারণে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
আর জীবিতদের মধ্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনকে আসামি রাখা হয়েছে।
সান নিউজ/এফএআর