নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি পূরণ না হওয়ায় ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। তবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের একাদশ সংসদ নির্বাচনে আসে তারা।
ঢাকার মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি এ কথা বলেন। ভারত সফর শেষে এদিন দুপুরে ঢাকায় ফেরেন মন্ত্রী।
ভোটে না আসার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন এলেই বিএনপি এ ধরনের বক্তব্য দেয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেয়া, ২০১৮ সালের নির্বাচনে দোদুল্যমান অংশগ্রহণের পর আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা বিএনপির জন্যই ক্ষতিকর হবে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের তাৎক্ষণিক নানা পদক্ষেপকে ভারতের সাংবাদিকরা সাধুবাদ জানিয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কলকাতার সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্ন ছিলো। বিএনপি-জামায়াতসহ উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করেছে এবং সরকার কীভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেই অপচেষ্টা শক্ত হাতে দমন করেছে, সেটি তাদের সবিস্তারে বলেছি। ভারতের পত্রপত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশন ও অনলাইনে সে বিষয়ে বিস্তারিত সংবাদ এসেছে।'
এর আগে মন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় তার ঐচ্ছিক তহবিলের অনুদান, ক্যানসারসহ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের সমাজসেবা অধিদপ্তরের অনুদানের চেক ও সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ এবং বিভিন্ন ক্লাবকে ক্রীড়াসামগ্রী বিতরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে কে কোন দল বা মতের, তা বিবেচনা করে না, যার সাহায্য প্রয়োজন, তাকেই সহায়তা দেয়।’
এ সময় তথ্যমন্ত্রীর ঐচ্ছিক তহবিল থেকে ৬৪ জনকে সহায়তা, ১০টি ক্লাবকে ক্রীড়াসামগ্রী, সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ২৮ জনকে দুরারোগ্য ব্যাধি চিকিৎসা সহায়তা এবং ৪৯ জনকে পল্লি সমাজসেবা ঋণ দেয়া হয়।
সান নিউজ/এফএআর