নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন সাত শতাধিক। এসব মামলায় আসামি এবং গ্রেফতারকৃত বেশিরভাগই বিএনপির নেতাকর্মী।
অনেকে গ্রেফতার আতঙ্কে এলাকা ছাড়া। শুধু তৃণমূল নেতাকর্মী নন, কেন্দ্রীয় একাধিক নেতাও আছেন গ্রেফতার আতঙ্কে। এদিকে মঙ্গলবার নয়াপল্টনে সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
এ সময় আটক করা হয়েছে অর্ধশত নেতাকর্মীকে। এ ঘটনায়ও মামলা এবং অনেককে আসামি করা হবে এমন শঙ্কা আছে। সবমিলিয়ে বিএনপিকে নতুন করে চাপে ফেলার জন্যই এসব করা হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, সারা দেশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পেছনে ক্ষমতাসীনদের মদদ রয়েছে। সরকারের এজেন্টরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক জায়গায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গ্রেফতারও হয়েছেন।
কিন্তু নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে তারা এখন বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, সরকার একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। নানা ব্যর্থতা আড়াল ও বিএনপিকে চাপে রাখার কৌশল হিসাবে তারা বিভিন্ন এজেন্ট দিয়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে উসকে দিয়েছে। ঘটনার পর বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা এবং তাদেরকে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে সরকারের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মামলার জালে জড়িয়ে অনেক নেতাকর্মীই বাড়িছাড়া।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, মামলা ও গ্রেফতার জালে বিএনপিকে বন্দি করার কৌশল আওয়ামী লীগের বেশ পুরোনো। এর আগেও সরকারবিরোধী আন্দোলন দমনে তারা মামলাকে বেছে নেয়। এসব মামলার বাস্তব কোনো ভিত্তি নেই। বিএনপিকে নির্মূল করাই সরকারের মূল উদ্দেশ্য।
সান নিউজ/এনকে