নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ইকবাল ভবঘুরে-উন্মাদ। সে রাস্তায় রাস্তায় ঘোরে। তাহলে কারা তাকে ইন্ধন দিল, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এ ঘটনা ঘটেছে। সরকার হয় ব্যর্থতা স্বীকার করবে, আর যদি ব্যর্থতা স্বীকার না করে তাহলে সরকার ইন্ধন দাতাদের একজন।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কুমিল্লা চাঁন্দময়ী রক্ষা কালী মন্দির পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নিতাই রায় চৌধুরী, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী গৌতম রায় চৌধুরী, বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ইকবালের বাড়ি কুমিল্লা। আপনারা কুমিল্লার লোক আবিষ্কার করেন এই ইকবাল কি সেই ইকবাল। যেভাবে ফুটেজ তৈরি করা হয়েছে তা সিনেমার শুটিংয়ের মতো। এটা ন্যাচারাল না। সে হাঁটতেছে রাস্তা দিয়ে, এটা সেটা। একটা উম্মাদ, নেশাখোর কী করতে পারে?
তিনি আরও বলেন, এই ইকবাল কোরআন শরিফ চিনল কীভাবে? কোরআন শরিফ অন্য কোনো জায়গায় না রেখে ওই জায়গায়ই কেন রাখল? তার মাথার মধ্যে এই বুদ্ধি কীভাবে এলো? সেই বুদ্ধিদাতাকে খুঁজে বের করতে হবে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নানুয়ার দিঘির পাড়ের ঘটনার পর সারাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। কুমিল্লায় কিছু অপরিচিত যুবক বাড়িঘর, মন্দিরে হামলা লুটপাট করে। অথচ পুলিশ মামলা দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের। জামায়াতকে দিনে দেখা যায় না, রাতেও দেখা যায় না, তারা কীভাবে হামলা-ভাঙচুর করতে পারে। হিন্দু-মুসলমানকে পারস্পরিক মুখোমুখি দাঁড় করাতে এটা সরকারের ষড়যন্ত্র। না হয় ইন্ধনদাতাদের কেন সরকার গ্রেফতার করছে না?
সান নিউজ/এমকেএইচ