নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী: নোয়াখালীতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাবেক স্পিকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবদুল মালেক উকিলের ৩৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
রোববার (১৭ অক্টোবর) সকালে জেলা কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ, দোয়া, মিলাদ ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়া বাধেরহাট আবদুল মালেক উকিল ডিগ্রি কলেজ, মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবে আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালের আজকের দিনে মারা যান আবদুল মালেক উকিল। তিনি ১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর নোয়াখালী সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। পরে নোয়াখালী আহমদিয়া উচ্চ মাদ্রাসায় শিক্ষা জীবন শুরু করেন আবদুল মালেক উকিল। ১৯৪৭ সালে তদানীন্তন যশোর জেলার মহকুমা মাগুরা কলেজ (বর্তমান সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ) থেকে আইএ পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৯ সালে বিএ এবং ১৯৫২ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।
ছাত্রজীবনেই তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। আবদুল মালেক উকিল পূর্ব বাংলা মুসলিম ছাত্রলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি এবং ঢাকা হাইকোর্ট বার কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৬৬ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধীদলীয় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যাদের নিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন এবং সদ্য স্বাধীন দেশের সরকার চালিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে আবদুল মালেক উকিল ছিলেন অন্যতম। তিনি ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন।
এছাড়া ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে নতুন মন্ত্রিসভায় আবদুল মালেক উকিলকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সালে তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন। ওই বছরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয়ে পড়লে ১৯৭৮ সালে দলটির একাংশের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে বিরোধীদলীয় উপনেতা নির্বাচিত হন আবদুল মালেক উকিল।
সান নিউজ/এমকেএইচ