নিজস্ব প্রতিবেদক: নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা প্লেনে চড়ে নিচে তাকালে লস অ্যাঞ্জেলেস দেখেন। আমাদের যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা আমাদের উন্নয়নের গল্প শোনান। অথচ দেশের ক্ষুধার আগুন জ্বলে আমাদের খাবার নাই, একেক জিনিসের দাম আমাদের বাপ দাদারা কল্পনা করতে পারেনি।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তিনি একথা বলেন। 'সবকিছুর দাম বাড়ে, কমে শুধু জীবনের; ক্ষুধার্ত অন্ন চায়, গল্প চায় না উন্নয়নের' শীর্ষক এই সমাবেশ আয়োজন করে নাগরিক যুব ঐক্য, নাগরিক ছাত্র ঐক্য ও নাগরিক নারী ঐক্য।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা খালি পাতিল ও বাজারের খালি ব্যাগ নিয়ে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধি প্রতিবাদ জানান।
তিনি সরকার দলীয় লোকদের উদ্দেশ করে বলেন, মানুষ ক্ষুধার জ্বালায় আত্মহত্যা করে। আর টেলিভিশনে হাসিহাসি চেহারা নিয়ে কথা বলতে লজ্জা করে না আপনাদের? আমরা ধনী দেশ হয়ে গেছি, অথচ আমাদের পেটে ক্ষুধার আগুন। মোট বেকার ৫ কোটি। তারমধ্যে শিক্ষিত বেকার ১ কোটি। খাদ্য দ্রব্যের দাম কমার কোনো খবর নাই। কমবে কীভাবে? দাম বাড়ায়ইতো সরকার। দাম বৃদ্ধির যতগুলো কারণ বের হয়েছে- এই সরকার কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কারণ সরকারের নিজেরই নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই।
কুমিল্লায় সরকারই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক ব্যাপার, মানুষ যদি দ্রব্যমূল্য নিয়ে পথে নামে! বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্ররা হলে ঢোকার পর যদি ন্যায্য দাবিতে কথা বলে! তাই একটা না একটা কাণ্ড বাঁধাতে থাকো- যেন মানুষ ওইদিকে বেশি ব্যস্ত হয়। অতএব কখনো ক্যাসিনো দেখায়, কখনো পাপিয়া দেখায়, কখনো পরীমণি দেখায়, কখনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগায়, কখনও গরীব মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা অজুহাত খোঁজে।
এসময় তিনি আগামী শুক্রবার বিকাল ৩টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে একই দাবি আবারও কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
নাগরিক যুব ঐক্যের সমন্বয়ক এসএম কবীর হোসেনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান খসরু, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ্ কায়সার, নাগরিক নারী ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী আক্তার, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
সাননিউজ/ জেআই