নিজস্ব প্রতিবেদক: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। এখানে কোনো ধরনের হামলাই গ্রহণযোগ্য নয়। পূজামণ্ডপ রক্ষার মূল দায়িত্ব সরকারের, ব্যর্থতার দায়ও সরকারের। সরকারের চরম ব্যর্থতায় এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা নগরের নানুয়া দিঘির উত্তরপাড়ে দর্পণ সংঘের ভাঙচুর হওয়া পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে দেশে নৈরাজ্য হচ্ছে। এ জন্য জাতীয় সরকার দরকার। এখানে পুলিশের ব্যর্থতা আছে। তাদের সাসপেন্ড করা দরকার। ব্যর্থ পুলিশের ট্রাইব্যুনালে বিচার করা দরকার।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় পূজামণ্ডপটি পরিদর্শনে আসেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা নানুয়া দিঘির পাড় এলাকার বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে একই সময়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা। ঐক্য পরিষদের নেতা সুব্রত চৌধুরী বলেন, এটি পরিকল্পিত ঘটনা। মোটেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। রামু থেকে কুমিল্লা, কারও ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। রামুর ২২ মামলার অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়নি।
এদিকে জুমার নামাজের পর কুমিল্লা নগরের প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ের পুবালী চত্বর ঘিরে রাখে পুলিশ। তখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও মাঠে ছিলেন। ওই এলাকায় কোনো মিছিল হয়নি।
কুমিল্লায় ১৩ অক্টোবর সকালে পবিত্র কুরআন অবমাননার খবরে উত্তেজনা ছড়ায় ও সংঘর্ষ হয়। পূজামণ্ডপে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
এ ঘটনায ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফয়েজ আহমেদকে (২৮) বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। ফয়েজের করা ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তিনিই প্রথম উসকানি দেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল আজিম বলেন, নতুন করে কোনো গ্রেফতার নেই। নগরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো ধরনের অরাজকতা বরদাশত করা হবে না।
সান নিউজ/এফএআর