নিউজ ডেস্কঃ
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সাক্ষরকৃত এক বিবৃতিতে করোনাভাইরাসে মৃত ও আক্রান্ত সাংবাদিকদের ঝুঁকি ভাতা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের দফতরের দায়িত্বে থাকা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের যেকোনও সংকটকালীন সময়ের মতো করোনার এই কঠিন সময়েও সাংবাদিকরা তাদের অসাধারণ ভূমিকা এবং দায়িত্ব পালন করছেন। করোনা প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে সরাসরি কোনও করণীয় না থাকার পরও জনগণকে এ সম্পর্কে বাস্তব পরিস্থিতি অবহিত করে যাচ্ছেন। গুরুত্বপূর্ণ এ দায়িত্ব সাহসিকতার সঙ্গে পালনকালে তারা তাদের নিজেদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি করেছেন। এর মধ্যেই ছয় জন সংবাদকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২৪৪ জন সংবাদকর্মী।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া এনটিভির মোস্তফা কামাল সৈয়দ, দৈনিক সময়ের আলোর হুমায়ুন কবির খোকন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিনিয়র সাংবাদিক সুমন মাহমুদ, দৈনিক ভোরের কাগজের আসলাম রহমান, দৈনিক সময়ের আলোর মাহমুদুল হাকিম অপু এবং দৈনিক বাংলাদেশের খবরের এম মিজানুর রহমান খানের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
করোনায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালনকারী সাংবাদিকদের যথাযথ সুরক্ষার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলেন, করোনার এই সময়ে বহু ক্ষেত্রে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, অনেক মিডিয়া হাউজ তাদের কর্মীদের বেতন দিচ্ছে না। এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মীদের ছাঁটাই করছে। অবিলম্বে সব ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে। ছাঁটাই করা সংবাদকর্মীদের পুনর্বহাল করতে হবে এবং তাদের বেতন প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। শুধু তাই নয়, যেহেতু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা কাজ করছেন, তাই তাদের জন্য ঝুঁকি বিবেচনায় পর্যাপ্ত ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মামলার ঘটনাও ঘটেছে। সত্য প্রকাশের কারণে সাংবাদিক গ্রেফতারও হয়েছেন। আমরা গ্রেফতার সব সাংবাদিকের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি এবং ভবিষ্যতে তাদের ওপরে যেকোনও ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, যে কোনও সংকটের সময়ে মুক্ত মত প্রকাশ বাধাগ্রস্ত করলে সেটা সেই সংকটকে আরও ঘনীভূত করে এবং মানুষের জীবনে বিপর্যয় ঘটায়।