নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নেতিবাচক রাজনীতি করার কারণে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন। নির্বাচন বর্জন করে তারা জনগণ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হবে। ১৯৭০ সালে ইয়াহিয়া খানের এলএফও উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু নির্বাচন করেছেন। যারা জনগণের সঙ্গে থাকবে, তারাই জিতবে। কিন্তু জনগণকে নিয়েই বিএনপির যত ভয়।
শুক্রবার (১ অক্টোম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটি ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, শেখ হাসিনার উন্নয়নের সংগ্রাম, নিরবচ্ছিন্ন স্বপ্নের মহাসড়কে খুলনা থেকে চট্টগ্রাম’ শীর্ষক এই সেমিনার আয়োজন করে।
এ সময় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো . আবদুস সবুর, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক নুরুল হুদা, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান, সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস, বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমান প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম সাইফুল আমিন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ দেওয়ার কারণেই বিএনপি কাউন্টার হিসেবে ভিশন ২০৩০ দিয়েছে। বিএনপির ভিশন ডিপ ফ্রিজে আছে। তা আর আলোর মুখ দেখবে না।
বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) বড় বড় কথা বলেন। বড় চার প্রকল্প (পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বিআরটি, কর্ণফুলী টানেল) চালু হলে বিএনপি চোখে শর্ষে ফুল দেখবে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, অনেক সড়ক হয়ে গেছে। এগুলো মজবুত করলেই লক্ষ্য পূরণ হয়ে যাবে। সড়ক তৈরি করে রক্ষণাবেক্ষণ না করলে তার সুফল পাওয়া যাবে না। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন করা হয়েছে। কিন্তু সার্ভিস লেন নেই। ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের মতো সড়ক ইউরোপেও নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নদীগুলোতে সেতু নির্মাণের ফলে এমনিতেই নাব্যতা নেই। এত ব্রিজ নির্মাণ করলে বাংলাদেশে একটি নদীও থাকবে না। সব শুকিয়ে যাবে। এত ব্রিজের আর দরকার নেই।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু হওয়ার পর এখন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া সেতুর দাবি উঠেছে। আমরা এ স্থানে টানেল নির্মাণের কথা ভাবছি। দেওয়ানগঞ্জ-ফুলছড়িতে আরেকটি টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। টানেল নির্মাণের দিকে নজর দিতে হবে।’
সান নিউজ/এমকেএইচ