নিজস্ব প্রতিনিধি, কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী): আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, গত ২১ মাস পেরিয়ে গেছে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হয়নি। যে দুজনকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে, তারাও বিতর্কিত। কেন্দ্রীয় নেতাদের কীসের ভয়, জানি না?
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের মির্জা আরও বলেন, একেক সময় একেক দোহাই দিয়ে সময়ক্ষেপণ করছেন, কোনো সময় বলছে রোজার ঈদ, আবার বলে কুরবানির ঈদ এবং করোনার দোহাই। এখন সময়ক্ষেপণ করতে আবার বলছেন নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এলে কমিটি দেওয়া হবে।
সংসদ সদস্য একরাম চৌধুরীর সমালোচনা করে কাদের মির্জা বলেন, একরামকে কেন এত ভয়, জাতীয় নেতাদের? আপনারা ভয় পেতে পারেন, আমি তাকে ভয় পাই না। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি— একরাম তোমাকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করব।
তিনি আরও বলেন, তুমি সম্মান থাকতে সরে যাও। না হয় গণআদালতের মাধ্যমে তোমাকে বিতাড়িত করা হবে। একরাম তুমি প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কথা বলেছ। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের অফিস বন্ধ করেছ। তোমার বিচার আমরা করবই। একরাম তুমি আমার মরহুম বাবাকে কটাক্ষ করে কথা বলেছ।
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার বলেন, আজকে কোম্পানীগঞ্জে কী হচ্ছে? আমার নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে মুজাক্কির হত্যা মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানো হচ্ছে। মিজানুর রহমান বাদলকে ২ ঘণ্টার মধ্যে জামিন দেওয়া হয়েছে, এটি কার নির্দেশে?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জের মানুষের অন্তরের খবর নিয়ে, আপনার ওয়াদার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, অন্তত কোম্পানীগঞ্জে ৫০০ এবং কবিরহাটে ৫০০ ছেলেমেয়ের চাকরির ব্যবস্থা করুন। প্রত্যেক ঘরে ঘরে গ্যাসের সংযোগ দিন এবং কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলের নদীভাঙন রোধকল্পে অনতিবিলম্বে ক্রস ড্যাম নির্মাণে পদক্ষেপ নিন।
সান নিউজ/এমকেএইচ