নিউজ ডেস্কঃ
২০১৫ সালের ১০ মার্চ গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরার বাড়ি থেকে র্যাব ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সালাহ উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দুই মাস পর পাশের দেশ ভারতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাকে। তারপর অনুপ্রবেশের মামলা, তদন্ত, নির্দোষ প্রমানিত, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল এই সব করেই কেটে গিয়েছে ৫ বছরের বেশী সময়। এরই মধ্যে মেজর দুইটি অপারেশন হয়েছে তার।
পারিবারিক খরচে চলছে তার চিকিৎসা ও মামলার ব্যয়। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে ভারতে সকল কিছু বন্ধ থাকায় নিয়মিত চিকিৎসা নিতে পারছেন না বলে জানা যায়। তিনি জানান, ‘আমি শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল অবস্থায় আছি। শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। অনেক কমপ্লিকেশন তো আছেই। এখানে আসার পর দুটো মেজর অপারেশনও হয়েছে। সব মিলিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছি।’
তিনি জানান ‘আদালত আমাকে জামিন দিয়েছে এবং আদেশ অনুযায়ী আমাকে দেশে পাঠানোর কথা। কিন্তু তা না করে ভারত সরকার আবার আপিল করেছে। তবে এটা তো জানা কথা যে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহ ছিল বলেই আবার আপিল হয়েছে। সাধারণত এমনটা হয় না।’
এ ব্যাপারে তার স্ত্রী বলেন, ‘পাঁচ-ছয় বছর বিদেশে পড়ে আছেন, বুঝতেই পারছেন তার কী অবস্থা। এরমধ্যে এখন কোভিড-১৯ ভাইরাস। সব মিলিয়ে অসহনীয় পরিস্থিতি, মনে হয় কখনও বাঁচার আশাই ছেড়ে দিয়েছি।’
এদিকে, দলীয় নীতিনির্ধারক ও শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সালাহ উদ্দিন আহমেদের প্রসঙ্গটি গুরুত্বের সঙ্গে জায়গা পাচ্ছে না বলে জানায় বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র। বিশেষ করে স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য দলীয় ফরেইন রিলেশন্স কমিটিকে এ ব্যাপারে কাজে লাগানোর সুযোগ থাকলেও তা দেখা যায়নি। খালেদা জিয়ার কাছে তার অনেক গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি দলীয় ঘরানায় বিপুলভাবে আলোচিত। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েকজন নেতা যোগাযোগ করলেও দলীয়ভাবে কোনও উদ্যোগ নেই বলে জানান কেউ কেউ।
এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ফরেইন রিলেশন্স কমিটির প্রধান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের এ বিষয়টি আর দীর্ঘায়িত করা উচিত বলে মনে করি না। বিশেষ করে এই করোনাভাইরাসের এই সময়ে ভারত সরকার আরও উদার হয়ে তাকে ছেড়ে দিতে পারেন। ভারত সরকারও জানে, বিষয়টি আসলে কী। এটা কারও অজানা না। এটার জন্য গবেষণার দরকার নাই। ফলে, করোনা মহামারিতে মানুষ স্বাস্থ্য,মনের দিক থেকে, চারদিক থেকে সমস্যায় আছে। মানবতার দিক থেকেও এটা সঠিক নয়।’