নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগকে ভূইফোঁড় দোকান আখ্যায়িত করে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৈরি করা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মঞ্চ সরিয়ে দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। এসব ভূঁইফোর সংগঠনের অনুষ্ঠানে অতিথি না হতেও কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর জন্য মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিলো। বিষয়টি নজরে আসার পর তা সরানোর নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পর দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সরিয়ে নেয়া হয় মঞ্চের নির্মাণ সামগ্রী।
এরপর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় দেয়া বক্তব্যে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে কিছুক্ষণ আগে খবর পেলাম প্রচার লীগ নামে এক ভূঁইফোর দোকান, প্রতিষ্ঠালগ্নের কী আয়োজন করেছে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ। মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের ব্যাপারে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই।
‘কিন্তু লীগ আর আওয়ামী যখন যুক্ত হয় তখন এখানে আমাদের সংশ্লিষ্টতা এসে যায়। এখানে আমাদের ভাবমূর্তির সঙ্গে বিষয়টি এসে যায়, কারণ এসব দোকান অনেকে খুলে থাকে চাঁদাবাজির জন্য, এগুলো আসলে চাঁদাবাজির প্রতিষ্ঠান।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাই করে তা না, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, এরা চাঁদাবাজিনির্ভর। চাঁদাবাজি পার্টি, এরা দলের নাম ভাঙায়। কাজেই এসব সংগঠনের কোনো প্রকার আয়োজনে, বৈঠকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হোক, যেটাই হোক আমি আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের আহ্বান জানাবো আপনারা কোনো অবস্থাতেই এসব সংগঠনের সভায় আপনারা আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থিত থাকবেন না, থাকতে পারেন না। এটা আমাদের পার্টির নীতি কৌশলের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের নামের সঙ্গে নাম জুড়ে ‘চাকরীজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠন বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ও বিদেশি শাখায় নেতা বানাতে ফেসবুকে বিজ্ঞাপণ দেয়। বিষয়টি নিয়ে গত ২৩ জুলাই সংবাদ প্রচার করে কয়েকটি গণমাধ্যম। এরপরই ভূঁয়া সংগঠনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
সান নিউজ/এফএআর