নিজস্ব প্রতিবেদক: গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলে নতুন শহর প্রকল্পের ৪নং সেক্টরে ৩টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে এলাকায় শিল্পায়ন ও পরিকল্পিত শহর হওয়ার কারণে গ্রামের মানুষ শহরমুখী হয়েছে। মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। সাড়ে ৭ কোটি মানুষ বর্ধিত হয়ে বর্তমানে প্রায় ১৬ কোটি। আর এ ১৬ কোটি মানুষের বাসস্থান ও খাদ্য নিশ্চিত করেছে শেখ হাসিনার সরকার। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প, পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, শিল্প কারখানা বৃদ্ধিসহ নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডই তা প্রমাণ করেছে।
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় দৈনিক ৩৪০ মিলিয়ন লিটার পানি সরবরাহের জন্য এ প্রকল্পের আওতায় ৩২০ কিলোমিটার পাইপলাইন নেটওয়ার্ক স্থাপন, ১৫ টি গভীর নলকূপ স্থাপন, একটি প্রশাসনিক ভবন ও একটি ওয়ার্কশপ নির্মাণ করা হবে। গভীর নলকূপ থেকে প্রতিদিন ৩০ মিলিয়ন লিটার পানি সরবরাহ করা হবে। মোট চাহিদার বাকি ৩১০ মিলিয়ন লিটার পানি সরবরাহের জন্য ঢাকা ওয়াসার সাথে আলোচনা চলছে।
প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২১ থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত মোট ১৫ বছর। এরমধ্যে ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চার বছর কনস্ট্রাকশন এবং ২০২৪ থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত মোট ১১ বছর অপারেশন ও মেনটেইনেন্স এর জন্য নির্ধারিত রয়েছে।
উল্লেখ্য যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ এর ভিত্তিতে প্রথমবারের মতো এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯২ কোটি টাকা যার মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ২৯৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা এবং প্রাইভেট পার্টনার হিসেবে United Delco Water Ltd. বাকি ব্যয়ভার বহন করবে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে জুন ২০২২ এর মধ্যে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকার ১-৫ নম্বর সেক্টরে এবং জুন ২০২৫ এর মধ্যে পর্যায়ক্রমে সকল সেক্টরে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
ইতোমধ্যে প্রকল্পের টপোগ্রাফিক সার্ভে, বিএম ইনস্টলেশন, জিওটেকনিক্যাল সার্ভে, পাইপলাইন নেটওয়ার্ক ডিজাইন এবং মৃত্তিকা পরীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে।
একই দিনে প্রতিমন্ত্রী পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয় ভবন, পল খান উচ্চ বিদ্যালয় এবং পূর্বাচল আদর্শ বিদ্যালয় ও কলেজ ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং বিদ্যালয় এলাকায় একটি করে ঔষধি, বনজ ও ফলদ বৃক্ষ রোপন করেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও পিপিপি কার্যক্রমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবিএম আমিন উল্লাহ নূরীসহ মন্ত্রণালয় ও রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/এফএআর