নিজস্ব প্রতিবেদক: নাশকতা ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার মামলায় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাজীব আহসানসহ চারজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (১৩ সেপ্টম্বর) রিমান্ড আবেদন নাকচ করে দিয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসী এ আদেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম হাওলাদার ওরফে সেতু, বরিশাল জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে রুহুল মৃধা এবং আশরাফুল ইসলাম।
৯ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) মইনুল ইসলাম চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিস করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন দিয়েছিলেন।
রিমান্ড শুনানিতে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়াসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন আবেদন করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মঈদুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা ও রিমান্ড চাইলেও শুনানি শেষে আদালত জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। সন্দেহজনক ঘোরাফেরার সময় ৮ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, তারাসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০-৪০ জন ধানমন্ডি মডেল থানার কাছে লেকপাড়ে সমবেত হয়ে সরকারবিরোধী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিলেন। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারেনি। এমন সময়ে সেখান থেকে উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করলে এক পুলিশ সদস্য আহত হন। তারপর তাদের আটক থানায় নেয়া হয়।
অবশ্য রাজীব আহসানকে গ্রেপ্তারের খবর জানানোর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, রাজীব আহসানকে তুলে নিয়েছে সাদা পোশাক পরা পুলিশ। তার পরের দিনই নাশকতা ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সাননিউজ/জেআই