নিজস্ব প্রতিবেদক: এক বছর পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বসছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, সাংগঠনিক কার্যক্রম, করোনা পরিস্থিতি এবং আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হবে। দলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি, সম্মেলনের পর কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়া, জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বিএনপির মাঠে নামতে চাওয়ার সম্ভাবনায় আওয়ামী লীগের কর্মসূচি কী হবে, এসব বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান ও মো. আব্দুর রহমানের কথা থেকে এমন তথ্যই পাওয়া গেলো।
আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় গতবছরের ৩ অক্টোবর। ৮১ সদস্যের মধ্যে ওই সভায় ৩২ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। একবছর পর অনুষ্ঠিতব্য আগামীকালের সভায় উপস্থিত থাকবেন প্রায় ৫০ জনের মতো নেতা।
যারা উপস্থিত থাকবেন তাদের মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ১০ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনজন, সকল সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ১২ জন এবং কার্যনির্বাহী সদস্য ১০ জন থাকবেন। আমন্ত্রিত প্রত্যেকের ইতোমধ্যে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যারা নেগেটিভ হবেন তারাই সভায় যোগ দেবেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রহমান বলেন, সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হবে। দলের সাংগঠনিক কাজের গতি বৃদ্ধি ও দলকে শক্তিশালী করার বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেবেন আমাদের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দলের যুগ্ম সম্পাদক আ ফম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, করোনার কারণে আমাদের সাংগঠনিক তৎপরতা চালাতে পারিনি। দীর্ঘদিন দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। করোনা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাওয়ার কারণে আমরা আবারও সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদারের জন্য কর্মপন্থা ঠিক করছি।
তিনি বলেন, তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা রয়েছে। জেলার অসমাপ্ত সম্মেলনগুলো শেষ করা হবে।
নির্ধারিত সময়েই জাতীয় সম্মেলন করার পরিকল্পনা নিয়েই আমরা এগোচ্ছি। এটা ধীরে ধীরে আরও দৃশ্যমান হবে। কিভাবে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করা যায় সভা থেকে সেই নির্দেশনা আমাদের নেত্রী দেবেন। তার দিকনির্দেশনা আমরা বাস্তবায়ন করবো।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, একবছর পরে আমাদের কার্যনির্বাহী বৈঠক হতে যাচ্ছে। সেখানে সকল বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে। নেত্রী এই মাসের ১৮ তারিখের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন দেশে থাকবেন না। তিনি আমাদের দিকনির্দেশনা দেবেন।
সান নিউজ/এফএআর