নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গণতান্ত্রিক কৃষ্টি ও সংস্কৃতির ভিত্তি সুসংহত, তখন গণতন্ত্র হত্যাকারী বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি অত্যন্ত লজ্জাকর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির আন্দোলনের অংশ। অর্থাৎ বিএনপি নির্বাচনে জেতার লক্ষ্যে নয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল বিএনপি জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি জনগণের উপর দায় চাপায়। নিজেদের পরাজয় আড়াল করার লক্ষ্যে নির্লজ্জভাবে তারা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষেদাগার করে আসছে।
তার দাবি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির উপর শুরু থেকেই বিএনপির কোনো আস্থা নেই। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান অবৈধ, অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করেছিল। এরপর যতবারই বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে, অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক মেয়াদ শেষের দিকে। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে নতুন নির্বাচন কমিশন। একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ‘সার্চ কমিটি’র মাধ্যমে বাছাই করে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রাক্কালে নির্বাচন কমিশনের গঠন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপি নেতাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই।
সান নিউজ/ জেআই/এমএইচ