নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে প্রতিরোধ বা প্রতিবাদের ডাক আসেনি। আর প্রতিবাদের ডাক আসেনি বলে সেই সময় খুনিদের বিরুদ্ধে সে সময় প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়নি।
শনিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ডেমরা থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় দোয়া মাহফিল ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম মাসুদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হুমায়ুন কবির, ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিজবাউর রহমান ভূইয়া রতন, সহ-সভাপতি শরফুদ্দিন আহম্মেদ সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, সদস্য সালাউদ্দিন বাদল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ.এম শরিফুল ইসলাম শরিফ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী, ওয়ার্ড কাউন্সিরর মাহমুদুল হাসান পলিন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও আতিকুর রহমান আতিক প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের স্মরণে দোয়া করা হয়।
বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের গুপ্তচর ছিলেন দাবি করে নানক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড আমাদের জন্য চরম শিক্ষা। বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। আর এ শিক্ষা নিয়েই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী-দেশপ্রেমিকদের দলের কর্মী বানাতে হবে। তাহলেই একটি আর্দশ দল হিসেবে আওয়ামী লীগ পূনর্গঠন হবে। ৭৫ এর এ ঘটনা কেন ঘটল এটা খুঁজতে হলে ৭১ কে খুঁজতে হবে। জেনারেল জিয়া পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ জিয়া ও তার সকল সহযোগী স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পরিকল্পনা করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। আজকে শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে রোল মডেলে পরিচিতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, গোলাম আযম ও নিজামীর নেতৃত্বে ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল।
সরকারকে পরাজিত করতে হবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে নানক বলেন, তারা আবারও এই ধরনের কর্মপরিকল্পনা করলে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে। দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের সব সময় দলের জন্য প্রস্তুত। তবে এজন্য দলের যোগ্য এবং ত্যাগী নেতাদের পদে স্থান দিতে হবে। মনে রাখতে হবে বিএনপি-জামায়াতের মতাদর্শ কারীরা যে দলে ঢুকে সে দল কখনোই দেশের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারেনা। আর ৭১ এর দালালরা এদেশে কখনোই তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে পারবে না। বরং তাদের এদেশ থেকে চিরতরে উৎখাত করা হবে। এখনো একটি কুচক্রি মহল শেখ হাসিনার উন্নয়নকে দুর্বার গতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়া বাংলাদেশের সুসংগঠিত আওয়ামী লীগ ও এদেশের মানুষ ওই কুচক্রিদের কখনোই সফল হতে দেবে না। এদেশেকে উন্নত দেশে রূপান্তর করতে কোন বাধাই টিকে থাকতে পারবে না। আল্লাহর রহমতে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।
সান নিউজ/এফএআর