রাজনীতি

চন্দ্রিমায় জিয়ার লাশ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে তার মরদেহ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সময় বিষয়টি বিএনপি নেতারা জানেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দলটির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজনে গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি চন্দ্রিমা উদ্যানে মারামারি করে। তারা কি জানে না সেখানে জিয়ার লাশ নেই?

‘এটা তো খালেদাও ভালো করে জানে। তারেক কি বলতে পারবে তারা লাশ দেখেছে? সেখানে একটি বক্স আনা হয়েছিল। এরশাদই বলেছে, সেখানে কমব্যাট ড্রেস পড়া ছিল। জিয়া তখন প্রেসিডেন্ট। সে কি কমব্যাট ড্রেস পড়ত? এটা কি বিএনপি জানে না?’

ওই সময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় কেন কেউ প্রতিরোধে এগিয়ে আসেননি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তারা (ঘাতকরা) এ দেশের নাম দিয়েছিল ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বেতারের নাম পরিবর্তন করে রেখেছিল রেডিও বাংলাদেশ। কিন্তু তা ধরে রাখতে তারা পারেনি। অন্যায় কখনো আল্লাহও মেনে নেয় না। এ দেশের মানুষও মেনে নেয়নি।

‘এটা ঠিক এ রকম একটি ঘটনার পর আমাদের দল, সমর্থক কিংবা মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা যে ছিল, তারা তা করতে পারেননি। আপনারা জানেন, যখন সেরনিয়াবাত সাহেবের বাসায় আক্রমণ করা হয়, সাথে সাথে আব্বা (বঙ্গবন্ধু) কিন্তু সবাইকে ফোন করেছিলেন। আবদুর রাজ্জাককে ফোন করেছিলেন, তোফায়েল আহমেদকে ফোন করেছিলেন। সেনাবাহিনীও তাদের ভূমিকা পালন করেনি। এর পেছনের রহস্যটা কী?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাত্র সাড়ে তিন বছর তিনি হাতে পেয়েছিলেন দেশ গড়ার। এই সময়ও কিন্তু তাকে সেভাবে সময় দেয়া হয়নি। তিনি যেদিন বাংলার মাটিতে পা রাখলেন সেদিন থেকেই ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার হলো।

‘স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করাই ছিল লক্ষ্য। দুর্ভাগ্য, আমাদের দলের ভেতরে, বাবার মন্ত্রিসভার সদস্য খন্দকার মোশতাকসহ অনেকে জড়িত ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত স্নেহ করতেন। সে হিসেবেই জিয়ার সংসার বাঁচাতে তাকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে উপ-সেনাপ্রধান করে রাখা হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় সোয়াত জাহাজ থেকে পাকিস্তানিদের জন্য অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিলেন। সাত মার্চের ভাষণেই কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যা যা দরকার তা করতে তিনি (বঙ্গবন্ধু) নির্দেশ দিয়েছিলেন। সোয়াত থেকে অস্ত্র খালাসে গেলে পাবলিক তাকে (জিয়া) ঘেরাও করে ও ধরে নিয়ে আসে। ২৫ মার্চ যখন পাক বাহিনী আক্রমণ শুরু করে দেয়, পূর্ব থেকে যেহেতু প্রস্তুতি ছিল, স্বাধীনতার ঘোষণা ইপিআর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে প্রচার করে দেয়া হয়।

‘জিয়া সোয়াত থেকে অস্ত্র আনতে গিয়েছিল। ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার পরেও পাকিস্তানি সামরিক অফিসার হিসেবেই কাজ করেছে। জাতির পিতার ঘোষণার পরে চট্টগ্রামে নেতারা মনে করলেন যদি একজন সামরিক অফিসারকে দিয়ে ঘোষণা পাঠ করানো হয়, তাহলে যুদ্ধ যুদ্ধ মনে হয়। প্রথমে মেজর রফিককে বলা হয়। কিন্তু তিনি তখন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে অ্যামবুশ করেছিলেন। পরে জিয়াকে ধরে এনে ঘোষণা পাঠ করানো হলো। সেভাবেই তার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ।’

তিনি বলেন, ‘জিয়া কোনো ফিল্ডে যুদ্ধ করেছেন শোনা যায় না। সে কখনো অস্ত্র হাতে সামনাসামনি যুদ্ধ করেনি। তাকেই খন্দকার মোশতাক দোসর হিসেবে পেয়েছিল। সেই ছিল তার মূল শক্তি। মোশতাক-জিয়া মিলেই চক্রান্ত করেছিল।’

সান নিউজ/এমএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কুমিল্লায় গোমতী নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন: ৬ ট্রাক জব্দ, ১ জনের জেল

কুমিল্লার গোমতী নদীর চরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ০৬...

সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতাসহ আহত চার

বগুড়ার রেলওয়ে এলাকায় ছাত্রদল নেতার ওপর সন্ত্রাসী হ...

ভালুকায় নারী ও শিশু ধর্ষণ প্রতিরোধ ও মাদকবিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

নারী ও শিশুর প্রতি যৌন সহিংসতা প্রতিরোধ এবং মাদকমু...

ফেন্সিডিল ও মদসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

নীলফামারীতে ফেন্সিডিল ও বিদেশী মদসহ মাদক ব্যবসায়ী...

সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতাসহ আহত চার

বগুড়ার রেলওয়ে এলাকায় ছাত্রদল নেতার ওপর সন্ত্রাসী হ...

ফেন্সিডিল ও মদসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

নীলফামারীতে ফেন্সিডিল ও বিদেশী মদসহ মাদক ব্যবসায়ী...

ভালুকায় নারী ও শিশু ধর্ষণ প্রতিরোধ ও মাদকবিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

নারী ও শিশুর প্রতি যৌন সহিংসতা প্রতিরোধ এবং মাদকমু...

কুমিল্লায় গোমতী নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন: ৬ ট্রাক জব্দ, ১ জনের জেল

কুমিল্লার গোমতী নদীর চরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ০৬...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা