নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান রুমীর ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জিসী শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এর আগে শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. সুজানুর রহমান তাদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সোমবার (২৩ আগস্ট) দিনগত রাত ১০টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ডিএমপির তেজগাঁও গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল।
গ্রেফতার অপর ছাত্রদল নেতা হলেন, কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) উত্তরের যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতারা দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে জড়ো হলে পুলিশ পুলিশ বাধা দিলে তাদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
এ সময় পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানেগ্যাস ও রাবার বুলেটে ঢাকা মহানগর বিএনপির উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ ১৮-২০ আহত হন। অন্যদিকে এ ঘটনায় ১০-১৫ জন পুলিশ সদস্যও আহত হন।
সংঘর্ষের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় ১৭ আগস্ট রাতেই তিনটি মামলা দায়ের করা হয় বলে জানান শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সী। তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ দুটি এবং পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।’
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, তাদের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে তাদের ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর পুলিশের মামলাটি করা হয়েছে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশকে মারধর করার অভিযোগে।
এর মধ্যে পুলিশের করা মামলায় বিএনপির ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ ১৫৫ জনকে এবং মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের মামলায় অজ্ঞাতসংখ্যক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।