নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি যাকে দেশনেত্রী বলেন তার জন্মদিন ছয়টি। জাতির সাথে এর চেয়ে বড় তামাশা আর কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপনারা কর্মসূচি পরিবর্তন করেছেন, কিন্তু খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিনের কর্মসূচিতো রয়েই গেলো? এর শেষ কোথায় তাও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ উদার গণতন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। এতো আঘাত করার পরও এ দেশে আপনারা রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড ১৫ আগস্ট ঘটেছে। রক্তাক্ত বিশ্বাসঘাতকতায় কালিমালিপ্ত অধ্যায় ৭৫’র ১৫ আগস্ট।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল চক্র থেমে থাকেনি, তারা ৩ নভেম্বর জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে কারাভ্যন্তরে হত্যা করেছিলো জাতীয় চার নেতাকে। এরপর ষড়যন্ত্র পেয়েছে নবরূপ, পরে প্রকাশ্য দিবালোকে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে।
শেখ হাসিনা সরকার করোনা সংকটের শুরু থেকেই নানান সীমাবদ্ধতা নিয়েই তা মোকাবিলা করে যাচ্ছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রথম ঢেউ মোকাবিলা করেন। দ্বিতীয় ঢেউ জীবন ও জীবিকার মাঝে ভারসাম্যমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে তিনি মোকাবিলা করছেন।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন দেশ ও উৎস থেকে টিকা আসছে, আগামী ছয় মাস টিকা আসা অব্যাহত থাকবে।
গণটিকা কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক, কিন্তু কেউ কেউ গণটিকা গ্রহণে জনগণের এ আগ্রহ ভালো চোখে দেখছে না। বিএনপি নেতারা এ নিয়ে সত্য-মিথ্যার বেসাতি করে ইস্যু খোঁজার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, গণটিকা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। একদিকে টিকা আসতে থাকবে, অপরদিকে টিকা দেওয়া চলবে। টিকা নিয়ে কোনও সংকট নেই, আগামীতেও হবে না। এনিয়ে অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অপপ্রচারকারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, চিকিৎসক সমাজকে মানবসেবার ব্রত নিয়ে মানুষের পাশে থাকা অব্যাহত রাখতে হবে। একজন অসহায় মানুষের রোগমুক্তি হলে এবং খেটে খাওয়া মানুষ খেতে পারলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার মো. শরফুদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে এ সময় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক মন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, বিএমএ’র সভাপতি ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
এছাড়াও বিএসএমএমইউতে বক্তব্য রাখেন স্বাচিপের সভাপতি ডাক্তার ইকবাল আর্সেনাল, সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার এমএ আজিজ, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা।
সান নিউজ/এফএআর