নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার প্রথম দিনেই দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না ।
সোমবার (১১ মে) সংসদ ভবনে সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গরিব, কর্মহীন ও অসহায় মানুষের জীবিকার স্বার্থে সরকার সাধারণ ছুটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করেছে। দুর্ভাগ্যজনক যে প্রথম দিনেই ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব অনেকেই উপেক্ষা করেছেন। দোকানপাট ও ব্যবসা কেন্দ্রিক অনেক জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে না।
ফেরিঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ঢল লক্ষ করা যায়। এ ধরনের উপেক্ষা প্রকারান্তরে নিজেদের ও আশপাশের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। অর্থাৎ করোনা বিস্তারকে উৎসাহিত করবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে সাফল্যের দাবিদার যে দেশটি দক্ষিণ কোরিয়া, সেখানে দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনার আক্রমণ শুরু হয়েছে। এ জন্য কোরিয়া সরকারকে আবারও লকডাউনের পথে যেতে হচ্ছে।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণকালে সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্তদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ত্রাণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনা সরকার কঠোর অবস্থানে। দলীয় পরিচয়ে যারা অনিয়ম করবে তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের শুদ্ধি অভিযান এখনও চলছে।’
করোনা সংকটে আওয়ামী লীগ পরিচালিত ত্রাণ কার্যক্রম নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দাবি করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সারা দেশে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি দিচ্ছে আর্থিক ও চিকিৎসা সহায়তা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়স্ক ও অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন।’
বিএনপির বিরুদ্ধে করোনা সংকটে মানুষের পাশে না দাঁড়ানোর অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘দেশ যখন করোনার করাল গ্রাসে বিপর্যস্ত তখন জনগণের প্রত্যাশা ছিল বিএনপি ত্রাণ সাহায্য নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াবে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের যখন ঈদ শপিং না করে সেই অর্থ অসহায় জনগণের মাঝে বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তখন বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের ঈদ উপহার বিতরণ করছে, যা জনগণের দুঃখ-দুর্দশার সঙ্গে উপহাসের শামিল।’
তিনি বলেন, ‘করোনার বিস্তার রোধে সরকার চিকিৎসা ক্ষেত্রেও সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় নতুন করে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অতি সম্প্রতি সরকার দুই হাজার চিকিৎসক ও পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছে। দুই হাজার চিকিৎসককে করোনা চিকিৎসা বিষয়ক কোভিড হাসপাতালে পদায়ন করা হয়েছে। সম্মুখ সারিতে তারুণ্যের শক্তি যোগ হওয়ায় লড়াইয়ে নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে মনে করি।’
সান নিউজ/ আরএইচ