নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়াউর রহমান সুযোগ দেয়ার কারণেই আওয়ামী লীগ নিবন্ধন করতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত ওই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেব অনেক কথা বলেন। তার একটা কথার উত্তর না দিলে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তিনি বলেছেন, ‘‘জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল নাকি তামাশা।” আরে আপনাদের জন্মই তো ওই বহুদলীয় গণতন্ত্র থেকে।’
ফখরুল বলেন, ‘১৯৭৫ সালে আপনাদের নেতা এবং আপনারা বাকশাল করে নিজেদেরকে নাই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘আমরা বাকশাল, আওয়ামী লীগ নাই।” পরে যখন জিয়াউর রহমান সাহেব আপনাদের সুযোগ দিল। আপনারা নিবন্ধন করেছেন। আপনাদের তিনি আবার নিয়ে এসেছেন ওই বহুদলীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে। এখন আপনারা বলেন তামাশা!’
হাসানুল হক ইনুকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন এবং গণবাহিনী তৈরি করেছিলেন। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন এবং অনেককে হত্যা করেছেন। কালের চক্রে ওই ইনু আওয়ামী লীগের মন্ত্রী হয়ে সবচেয়ে বড় দালালে পরিণত হন। তিনি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলেন।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পরিবর্তন হয় তরুণ-যুবকদের হাত দিয়ে। আপনারাই পারবেন এই ভয়াবহ দানবের সঙ্গে যুদ্ধ করতে। দানব কিন্তু ছোটখাটো দানব নয়। পৃথিবীর কোনো দেশে ফ্যাসিস্টদের সরানো এত সহজে সম্ভব হয় না। এটা এরশাদ নয়, আইয়ুব খান নয় যে রাস্তায় আন্দোলন করবেন আর সরে যাবে। একটা শিক্ষিত সেনাবাহিনী ছাড়া কখনও যুদ্ধে জয় করা যায় না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব প্রমুখ।
সান নিউজ/এমএইচ