নিজস্ব প্রতিবেদক: জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির রেখে কমিটি ঘোষণা করতে যাচ্ছে হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ। এ কমিটিতে স্থান পাচ্ছেন না মাওলানা মামুনুল হকসহ সম্প্রতি আটক সংগঠটির নেতারা।
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদীর মাদ্রাসায় সোমবার (৭ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে এ কমিটি ঘোষণা হবে। বিকল্প কমিটি গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শফীপন্থীরাও।
চূড়ান্ত হয়ে যাওয়া এ কমিটিতে মহাসচিব করা হয়েছে মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদীকে। আহমদ শফীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ মাদানী এ কমিটিতে রয়েছে। তবে বাদ পড়েছেন ছোট ছেলে আনাস মাদানী।
জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ আগমনের বিরোধিতা করে সংগঠনের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত মার্চের ২৫, ২৬ ও ২৭ তারিখ দেশজুড়ে সহিংসতার চালায় হেফাজত। সে সময়ে সরকারি অফিস, স্থাপনা ধ্বংসের পাশাপাশি অন্তত ১৭ জনের প্রাণহানি হয়। এরপর ঢাকা মহানগর হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের পর নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
১১ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন মামলায় হেফাজতের নেতাদের গ্রেফতার শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আলোচিত হেফাজত নেতাদের মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আহমদ আবদুল কাদের, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মামুনুল হক, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মনঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলামাবাদী, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হারুন ইজহার, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমেনী, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ অর্থ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরী কমিটির সহসভাপতি মুফতি ইলিয়াস, কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি শরীফ উল্লাহ, ঢাকা মহানগর হেফাজতের সহ-সভাপতি মাওলানা কোরবান আলী, ঢাকা মহানগরীর সহ-সভাপতি মাওলানা জুবায়ের আহমেদ প্রমুখ।
এমন পরিস্থিতিতে ২৬ এপ্রিল রাতে জুনায়েদ বাবুনগরী হেফাজতের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। আর তার কয়েক ঘণ্টা পর জুনায়েদ বাবুনগরীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা আসে। তখন থেকেই হেফাজত নেতারা বলে আসছিলেন শিগগির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।