রাজনীতি

গতানুগতিক নয় বিশেষ বাজেট চায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাকালে এবারের বাজেট গতানুগতিক বাজেট হওয়া উচিত নয় মন্তব্য করে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন বিশেষ সময়ের বাজেট দাবি করেছে বিএনপি। দলটির দাবি, এর মূখ্য উদ্দেশ্য হবে করোনা প্রভাব মোকাবিলার মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা ও দুর্ভোগ উপশম করা।
শুক্রবার (২৮ মে) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘বাজেট ভাবনা অর্থবছর ২০২১-২০২২’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি উত্থাপন করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে দরকার হবে সহায়ক নীতি। অনেক মনে করেন, করোনার ভয়াবহতা না কমলে গতানুগতিক বাজেট করে কোনো লাভ নেই। লক্ষ্য হওয়া উচিত আগামী ৬ মাসের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট করা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পূর্ণ করেছে এ বছর। ১৯৭১ সালে একটি সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে পৃথিবীর মানচিত্রে জায়গা করে নেয় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। বর্তমানে একদিকে ফ্যাসিস্ট সরকারের যাঁতাকলের মধ্যে করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ও অন্যদিকে দেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছি আমরা! এরকম এক ঐতিহাসিক মহাযুগসন্ধিক্ষণে এবারের ৫০তম জাতীয় বাজেট প্রণীত হতে যাচ্ছে। আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শহীদ রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের হাত ধরে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রাথমিক সোপানে উঠে বাংলাদেশ। আজকের অর্থনৈতিক মেরুদন্ডের ভিত্তি গার্মেন্টস শিল্প ও প্রবাসী আয় শহীদ জিয়ারই অবদান। এরপর ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকার গঠনের পর থেকে অর্থনীতিতে নতুন গতিপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। মুক্তবাজার অর্থনীতি, ভ্যাট প্রবর্তনসহ তিনি যে নানামুখী সংস্কারমূলক কাজ করেছেন, আজকের অর্থনীতি তো তার উপরই দাঁড়িয়ে আছে। তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগ সৃষ্ট নজিরবিহীন বৈরী পরিবেশ সত্ত্বেও বিএনপি সরকারের সময় ২০০৬-০৭ অর্থবছরে সর্বশেষ ৭.০৬% প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়। আমরা গর্বিত যে আজকের বাংলাদেশ শহীদ জিয়ার বপনকৃত উন্নয়নের সেই ধারাবাহিকতা ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের সফলতার ফসল। যদিও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির বিরাট ব্যবধান রয়েছে; রয়েছে চরম গণতন্ত্রহীনতা, আইনের শাসন ও সুশাসনের অভাব এবং মতপ্রকাশের অধিকার এবং মৌলিক অধিকারসহ উলঙ্গ মানবাধিকার লঙ্ঘন। সে সব নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত প্রতিবাদ করছি। আমি বর্তমানে অন্যায়ভাবে কারাবন্দী চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার অবদানের কথা স্মরণ করছি এবং তাঁর আশু রোগমুক্তি কামনা করছি এবং অবিলম্বে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করছি।

ফখরুল বলেন, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর প্রকোপে সারা বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। জাতি আজ এক মহাদুর্যোগকাল অতিক্রম করছে। কতদিন এ দুর্যোগ চলবে তাও অনিশ্চিত। জীবন ও জীবিকার টানাটানিতে জনজীবন ও অর্থনীতি দুটোই মহাসংকটে রয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধ করতে না পারলে কোনোভাবেই অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। করোনা সংকট মোকাবেলায় এবং করোনাকালে অর্থনীতিকে সচল রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতা এবং এর সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিণতির দায় বর্তমান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকেই বহন করতে হবে।

তিনি বলেন, শীর্ষ অর্থনীতিবিদরা বলছেন করোনাকালের এবারের বাজেট গতানুগতিক বাজেট হওয়া উচিৎ নয়। করতে হবে বিশেষ সময়ের বিশেষ বাজেট। এর মূখ্য উদ্দেশ্য হবে করোনার প্রভাব মোকাবিলার মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা ও দুর্ভোগ উপশম করা। ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনা। এজন্য দরকার হবে সহায়ক নীতি সহায়তা। অনেকে মনে করেন, করোনার ভয়াবহতা না কমলে গতানুগতিক বাজেট করে কোনো লাভ নেই। লক্ষ্য হওয়া উচিত আগামী ৬ মাসের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট করা। কারণ করোনার কারণে পূর্ণাঙ্গ বাজেটের কোনো লক্ষ্যই অর্জিত হবে না। বিদায়ী অর্থবছরে বিএনপির পক্ষ থেকে আমরাও এ দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু প্রথাগত গতানুগতিক বাজেট কাঠামো থেকে বেরিয়ে এসে একটি “বিশেষ করোনা বাজেট” না দিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য দেয়া হ’ল ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার কোটি টাকার একটি গতানুগতিক অবাস্তবায়নযোগ্য বাজেট যা জাতিকে হতাশ করেছে। শেষ পর্যন্ত এই বাজেটের কোনো লক্ষ্যই সেভাবে পূরণ হয়নি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী দাবি করেছেন এ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় নাকি ২৪৩ ডলার বেড়ে বর্তমানে ২২২৭ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। মানুষের অর্থনৈতিক জীবন বিপর্যয়ের যে চিত্র চারিদিকে তাতে তো তা প্রতিভাত হয় না। ক্রনি ক্যাপিটালিজমের এ যুগে সরকারের মদদপুষ্ট কিছু ব্যক্তির ভাগ্য আরও প্রসন্ন হয়েছে, তাতে কোন সন্দেহ নাই। আম-জনতার আয় বরং আরও কমেছে। বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে মানুষের আয় কমেছে ৩৭ শতাংশ। বেতননির্ভর মানুষের আয় কমেছে ৪৯ শতাংশ। দেশে গত কোভিড সময়ে ২ কোটি ৪৫ লক্ষ নতুন দরিদ্রের সৃষ্টি হয়েছে। তাহলে মাথাপিছু আয় বাড়লটা কার?

তিনি বলেন, নারায়নগঞ্জের হতভাগ্য ফরিদ আহমেদ বর্তমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রতিভূ হয়ে আছেন। করোনার এই কঠিন সময়ে সবচেয়ে বিপাকে আছে মধ্যবিত্তরা। আয় কমে গেছে, অনেকের চাকুরি নেই, চাকুরি থাকলেও বেতন নেই। মধ্যবিত্তরা হাত পাততে পারেন না বা টিসিবি ট্রাকের লাইনেও দাঁড়াতে পারেন না। হোসিয়ারি কারখানায় অল্প বেতনে কাজ করা এই ফরিদগণ সরকারেরই দেয়া ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে গোপনে খাদ্য সহায়তা চেয়েছিলেন। সহায়তা তো দেয়া হয়ইনি বরং সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও আর্থিক সহায়তা চাওয়ার মিথ্যা অপরাধের অজুহাত এনে পরিবারটিকে একেবারে পথে বসিয়ে দেয়া হলো। এ হলো বর্তমান জবাবদিহীহীন সরকারের মানবকল্যাণ। আর এ হচ্ছে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির প্রকৃত চিত্র।

আসছে বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, অর্থমন্ত্রী হরিলুট করে সঞ্চিত কালো টাকা জায়েজ করার দরজা অবারিত করে দিলেন। যা অনৈতিক এবং ন্যায়নীতি মেনে আইন পালনকারী নাগরিকদের প্রতি অবিচার।

তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা বারবার করোনার প্রথম ঢেউ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে সমন্বিত পরিকল্পনা এমনকি প্রয়োজনে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারির বিষয়েও ভেবে দেখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম। বিএনপি থেকে বিভিন্ন খাতে ৮৭ হাজার কোটি টাকার সুনির্দিষ্ট প্যাকেজ প্রণোদনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। সারা বিশ্বে যখন স্বাস্থ্য খাতে ক্রমাগত বরাদ্দ বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন আমাদের কমছে। অর্থাৎ সরকার স্বাস্থ্য খাতকে সর্বাধিক প্রাধান্য দেয়ার কথা প্রচার করলেও স্বাস্থ্য খাতকে সঠিক গুরুত্ব দিয়ে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে না। একে তো স্বল্প বরাদ্দ, তার ওপর রয়েছে সীমাহীন দুর্নীতি, অর্থ ব্যয়ে চরম অব্যবস্থাপনা। এতে পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে।

মেগা প্রজেক্টের মেগা চুরি মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, মেগা প্রজেক্টের মেগা দুর্নীতির সব কাহিনী আপনারা সবাই জানেন। দেখা গেছে যে সরকার সাধারণ মানুষের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চেয়ে মেগা-প্রকল্প গ্রহণেই বেশি আগ্রহী। সরকারের তথাকথিত কয়েকটি ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্টের চিত্র তুলে ধরা হলো যাতে দেখা যায় কিভাবে অযৌক্তিকভাবে প্রকল্প মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রকল্প-ব্যয় বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং হচ্ছে। ফাস্ট ট্র্যাক নাম দিয়ে যে প্রকল্পগুলো গ্রহণ করা হয়েছে তার জবাবদিহিতাও হতে হবে ফাস্ট ট্র্যাক। প্রকল্পসমূহের শুরুতেই গবেষণালব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে প্রকল্পের মাঝামাঝি বা শেষ পর্যায়ে এসে নানা সমস্যা হতো না। কিন্তু সরকারের সুশাসনের চরম ঘাটতির কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণের চেয়ে তাদের বেশি দৃষ্টি থাকে কিভাবে যেনতেন ভাবে শুধু বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করা যায়। চলমান মেগা প্রজেক্টগুলোর প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন পর্যায়ে চরম অস্বচ্ছতা, অদক্ষতা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়ের মধ্যে দিয়ে মহা দুর্নীতির মহা রেকর্ড তৈরি হচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাজেট শুধুমাত্র সরকারের অর্থ সংগ্রহ ও ব্যয়ের বিষয় নয়। বাজেটে কত আয় ও কত ব্যয় করা হলো তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক নীতি। মূলত আর্থিক নীতি নির্ভর করে একটি সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর। সে প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির বছরে আমরা আগামীর বাংলাদেশকে কোন অর্থনীতির নীতির আলোকে দেখতে চাই, সেটা নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ আমরা যদি আমাদের সুনির্দিষ্ট অর্থনৈতিক নীতি ঘোষণা করতে না পারি তবে দেশের সার্বিক আর্থিক খাত দিশাহীন হয়ে পড়বে। বিএনপি এবারের বাজেটকে কেবলমাত্র নির্দিষ্ট অর্থবছরের হিসাবের চেয়ে আগামী দিনের অর্থনীতির সুনির্দিষ্ট পদনির্দেশের যাত্রাবিন্দু হিসেবে দেখতে চায়। আর সে লক্ষ্যে বিএনপি আগামী বাজেটকে ভবিষ্যতের অর্থনীতির নীতি কৌশল হিসেবে ‘সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ অর্থনীতি’ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার হিসেবে দেখতে চায়। কারণ উন্নয়নকে শুধু অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে চলবে না, সুশাসন, দুর্নীতি, অর্থের অপচয়ের বিষয়গুলোও মূল্যায়ন করতে হবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয় বিবেচনায় নেয়া হলেই কেবল সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, একটি দেশের অর্থনীতি তখনই সত্যিকার অর্থে জনবান্ধব হয়ে ওঠে যখন সেখানে ‘সুশাসন ও জবাবদিহিমূলক সরকার’ জনগণের অবাধ নিরপেক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়। সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের মূল মন্ত্রই হচ্ছে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগের সর্বোত্তম পন্থা “গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা” গড়ে তোলা যা বর্তমানে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।

সাননিউজ/টিএস/

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

সবজির বাজারে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কমেছে পেঁয়াজ, সবজি...

বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন পূজা 

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই চিত্রনায়িকা ও মডেল পূজা চেরি ডজনখানেক ছব...

স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মামলা, নারী আটক

জেলা প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ায় জীবিত স্বামীকে বৈষম্যবিরোধ...

বৈষম‌বিরোধী আন্দোলনে বেঁচে ফেরার আশা করেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতন আন্দোল&zwnj...

ইসলামী ব্যাংকের সাথে হাব-এর মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর উদ্যোগে হ...

সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছ...

ফের বাড়ল সোনার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বাজারে ফের সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা...

ফের হারলো সাকিবের দল

স্পোর্টস ডেস্ক : আবুধাবির টি-টেন টুর্নামেন্টে ফের হারের মুখ...

নোয়াখালীতে দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীতে পৃথক স্থান থেকে দুই গৃহবধূর...

ঢাকাবাসীকে নিরাপদ রাখতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা