নিজস্ব প্রতিবেদক: অসুস্থ্য খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রশ্নে সরকারের নেতিবাচক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ লেবার পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান বলেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত অমানবিক ও ধৃষ্টতাপূর্ণ। স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশে আইনের শাসন, ন্যায় বিচার ও সুশাসন না থাকায় দেশ আজ মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে। সরকার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানী করতেই আদালতকে ব্যবহার করে বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে।
সোমবার লেবার পার্টির দফতর সম্পাদক আমানুল্লাহ মহব্বত স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় একথা বলেন।
লেবার পার্টির নেতারা বলেন, বিনা চিকিৎসায় বছরের পর বছর কারান্তরীন থাকায় বেগম জিয়া এখন গুরুতর অসুস্থ্য। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়ার চিকিৎসক টিম বিদেশে নেয়ার সুপারিশ করলেও সরকার চিকিৎসা প্রাপ্তিতে বাধা সৃষ্টি করেছে। জরুরী সরকারের আমলে ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ৮ সপ্তাহের মুক্তিতে বিদেশ গিয়েছিলেন। তৎকালীন আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলও প্যারোলো মুক্তিতে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। তাই বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রনালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্ত প্রতিহিংসামুলক ও উন্নত চিকিৎসা বঞ্চিত রেখে মৌলিক অধিকারহরনের শামিল।
লেবার পার্টির নেতৃদ্বয় বলেন, অনেক সাজাপ্রাপ্তরা বর্তমান বিনাভোটের সরকারের এমপি-মন্ত্রী হিসাবে বহাল থাকলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নিতে বাধাগ্রস্থ করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া শুধু তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নন, স্বাধীনতার ঘোষক ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারের সহধর্মীনি। তার সাথে সরকারের এহেন আচারন ফ্যাসিবাদী ও মানবতা বিরোধী অপরাধের শামিল। তাই দেশপ্রেমিক গনতন্ত্রকামী জনগন ও বিশ্ব বিবেক মাবধিকার সংস্থা সমুহকে দেশনেত্রীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানাই।
সাননিউজ/টিএস/