নিজস্ব প্রতিবেদক: নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনতার দুশমন দলে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, ওই দলটিতে কোনো ভালো লোক আর নেই। ওদের বড় লোকগুলো পর্যন্ত রিলিফ নেয়। ওদের বড়লোকগুলোও ছোট লোক, ভালো লোক নেই আর ওদের। ওইদলটি একেবারে পঁচে গেছে। এই অভিশপ্ত দলটি যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন আমাদের কষ্ট হবে।
বুধবার শহীদ মিনার এলাকায় রিক্সা-শ্রমিক ঐক্যর উদ্যোগে ‘খাবার কেনার টাকা দাও, দরকার হলে লগডাউন দাও’ কর্মসূচিতে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এক সময়ের আওয়ামী লীগ নেতা মান্না বলেন, লগ ডাউনের মধ্যে রাস্তায় জ্যাম। সবই চলছে। পুলিশ শুধু রিক্সাওয়ালাদের রাস্তায় থাকতে দিচ্ছে না। রিক্সা ধরে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ ওই যে দেখেন রাস্তায় গাড়ী আর গাড়ী। এরশাদ আমলে একবার রিক্সাওয়ালারা মিছিল বের করল। তারা শ্লোগান তুলল-ট্রাফিক পুলিশের চামড়া তুলে নেব আমরা। পরেরদিন রাস্তার মোড়ে মোড়ে একজন ট্রাফিক পুলিশও নেই। আবারও একত্রিত হতে পারবেন? হয়ে দেখেন, রিক্সা আটকাবে না। সব গরীব মানুষ ঐক্যবদ্ধ হন।
‘ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সাড়ে দশ কোটি টাকা করোনায় সমস্যাগ্রস্তদের মধ্যে দিচ্ছেন’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এ টাকা কোথায় পেলেন? তিনি এ কথার জবাব দেননি। এই কয়টি টাকা দিয়ে কি হবে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, দশ কোটি দরিদ্র মানুষই আছে। যে টাকা প্রধানমন্ত্রী বরাদ্দ দিয়েছেন তাতে প্রতিটি মানুষ একটাকা কয়েক পয়সা করে পাবে। সব চোর-ছ্যাচড়; যারা আওয়ামী লীগ করে তারাই আগেও পেয়েছে। আবারও পাবে এ টাকা। ওদের নিজেদের লোক একবার থেকে তিনবার করে নেয়।
এক লাখ কৃষক পরিবারকে পাঁচ হাজার করে টাকা দেয়ার সরকারের ঘোষণা সম্পর্কে মান্না বলেন, আমরা এই টাকার হিসাব দেখতে চাই। কারা এই টাকা পায়?
রিক্সা শ্রমিকদের পরামর্শ দিয়ে মান্না বলেন, আপনাদের যেখানে যেখানে গ্যারেজ আছে, সব জায়গায় আপনারা যান। গিয়ে বলেন, লগডাউনটাউন বুঝি না। আমরা খাবার চাই। কাজ চাই। যদি খাবার না দিতে পারে তাহলে রাস্তায় নামুন। দেখবেন তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। লড়াই চলবে। এই লড়াইয়ের ঘোষণা দিতেই আমরা জমায়েত হয়েছি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী, গণসংহতির সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকীসহ অন্যরা।
সাননিউজ/টিএস/