নিজস্ব প্রতিবেদক: নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। করোনায় কর্মহীন মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছানোর স্পষ্ট রূপরেখা জনগণের সামনে উন্মোচনেরও দাবি জানান তিনি।
এ দাবি না মানলে ঈদের পর সরকারের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার ঘোষণা দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় শহীদ মিনারে এক নাগরিক প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে এমন আগ্রহের কথা জানান তিনি। লকডাউনে মানুষের হাহাকার বন্ধে- ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছানোর দাবিতে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা দিলারা চৌধুরী, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা রেহনোমা আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু ও ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, নারীর জন্য সুশাসনের নির্বাহী পরিচালক রুবি আমাতুল্লাহসহ, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল আলম ভূইয়া প্রমুখ।
করোনাকালে সরকারের পক্ষ থেকে দরিদ্রদের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দের সমালোচনা করে মান্না বলেন, দরিদ্র পরিবারের জন্য মাত্র ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেবার জন্য প্রধানমন্ত্রীর জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা উচিত।
তিনি ৪৫ লাখ দরিদ্র পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছানোর স্পষ্ট রূপরেখা জনগণের সামনে উন্মোচনের দাবি জানান। দাবি না মানলে ঈদের পর সরকারের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক।
লকডাউনে রিকশাচালক ও বাঁশখালীর শ্রমিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মান্না বলেন, এই সরকারের কোনো মূল্যবোধ নেই।
অনুষ্ঠানে করোনা মোকাবিলায় দরিদ্র পরিবারের খাদ্য নিশ্চয়তা প্রদানের লক্ষ্যে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার আহ্বান জানান অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া। ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দকে বাস্তবসম্মত দাবি করে করোনা মোকাবিলায় প্রাপ্ত বিভিন্ন সংস্থার অনুদানকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সম্মান করেই বলছি বাংলাদেশে লকডাউন দিতে হলে মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করে দিতে হবে। সেটা না করে লকডাউন দেয়া প্রতারণা।
সান নিউজ/টিএস/আরআই