নিজস্ব প্রতিবেদক : গুজব ছড়িয়ে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় নজিরবিহীন তাণ্ডব সরেজমিনে পরিদর্শন করতে সেখানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে প্রতিনিধি দলটি রওনা দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
বুধবার (৭ এপ্রিল) উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান জানান, আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতারা প্রতিনিধিদলে থাকবেন।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি ফরিদপুরের ওই এলাকায় একের পর এক ঘটনা ঘটেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
গত সোমবার রাতে করোনা মোকাবিলায় বিধিনিষেধ কার্যকর করতে ফরিদপুরের সালথায় লোকজনকে পেটানো হয়েছে—এমন অভিযোগে থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করে তাণ্ডব চালানো হয়। ওই ঘটনায় কেউ কেউ গুজব ছড়ায়, পুলিশের গুলিতে অনেকে মারা গেছে। আবার কোনো দিক থেকে গুজব ছড়ানো হয়, মাদ্রাসার মুহতামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমন নানা গুজবে জড়ো হয় বহু মানুষ। একপর্যায়ে তারা হামলা চালায় ফরিদপুরের সালথা থানা, উপজেলা কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন সরকারি কার্যালয় ও আবাসিক ভবনে। আগুন দেওয়া হয় কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারের (এসি ল্যান্ড, ভূমি) গাড়িতে।
গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঘটেছে এসব ঘটনা। এতে নিহত হয়েছেন একজন। আহত হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন।
ওই ঘটনায় চার হাজার জনকে আসামি করে মঙ্গলবার রাতে সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। এসআই মিজানুর ঘটনার রাতে ফুকরা বাজার এলাকায় হামলায় আহত হন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান।
এদিকে,আজ বুধবার রায়ণগঞ্জে রিসোর্টে নারী নিয়ে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে আটকের পর সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি দোকানপাট, ভাঙচুরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল।
সান নিউজ/এমআর/এম