মাহমুদুল আলম : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে ডিএনসিসি নির্বাচনে মিরপুরের পল্লবী এলাকা থেকে নির্বাচনে জয় লাভ করেন তিনি। এবার তিনি টানা দ্বিতীয় বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
নির্বাচনের আগে হলফনামায় তিনি এবং আইনজীবী (নোটারি পাবলিক) মো. নূর রহমান একইদিন স্বাক্ষর করেন।
হলফনামায় সাজ্জাদ হোসেনের সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে লেখা আছে ‘স্বশিক্ষিত’। ওই সময় তার বিরুদ্ধে ২৩টি ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তার ব্যবসা/পেশার বিবরণীতে লেখা হয়েছে ‘ব্যবসা সানজিদা এন্টারপ্রাইজ’।
এই প্রার্থীর নিজের এবং তার উপর নির্ভরশীলদের বাৎসরিক আয়ের উৎস বিষয়ে বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বিষয়ক ঘরটিতে কিছু লেখা নেই। ব্যবসা হতে তার বাৎসরিক আয় উল্লেখ করা হয়েছে তিন লাখ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত, পেশা, চাকুরি (সম্মানী), অন্যান্য: (গাড়ী ভাড়া বাবদ আয়)- এসব ঘরে নিজের এবং তার উপর নির্ভরশীলদের ঘরে কিছু লেখা নেই।
হলফনামায় তার নিজের, তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গ এবং তার স্ত্রীর পরিসম্পদ এবং দায়ের বিবরণীতে অস্থাবর সম্পদের ঘরে নগদ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে নিজ নামে ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। বৈদেশিক মুদ্রা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানীর শেয়ার ব্যবসা মূলধন, পোস্টাল, সেভিং সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ বিষয়ক ঘরগুলোতে কোনো লেখা নেই। বাস, ট্রাক, মটর গাড়ী, লঞ্চ, স্টিম (আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী) ঢাকা মেট্রো-গ-১৪৫২৪১ লেখা ঘরটিতেও কিছু লেখা নেই। স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও পাথর নির্মিত অলংকারাদির ঘরেও কিছু লেখা নেই।
ইলেক্ট্রনিক সামগ্রি, আসবাবপত্র এবং অন্যান্য ব্যবসার পুজির ঘরে নিজ নামে লেখা আছে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৯০ হাজার এবং ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
আর স্থাবর সম্পদের বিষয়ে সব ঘরই ফাঁকা আছে। স্থাবর সম্পদের বিষয়গুলো হলো কৃষি জমি, অকৃষি জমি, দালান, আবাসিক/বাণিজ্যিক, বাড়ি/এপার্টমেন্ট, চা বাগান, রাবার বাগান, মৎস খামার ইত্যাদি।
দায়-দেনা সমূহের ঘরেও কিছু লেখা হয়নি।
২০১৯ সালের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর এই হলফনামায় স্বাক্ষর করেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। আইনজীবী (নোটারি পাবলিক) মো. নূর রহমানও একইদিন হলফনামাটিতে স্বাক্ষর করেন।
সান নিউজ/এম