ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের সময় কাউকে নিষ্প্রয়োজনীয় হয়রানি করা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, প্রার্থীদের পুলিশি হয়রানি করা, প্রার্থীদের বাসায় হানা দেয়ার যে অভিযোগ পুলিশকে বৈঠক করে কঠোরভাবে বলে দেবো যাতে প্রার্থীদের হয়রানি না করে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বিষয়ে বলেছি নিষ্প্রয়োজনীয় কোনো গ্রেপ্তার করা যাবে না। কিন্তু ক্রিমিনাল অফেন্স করলে গ্রেপ্তার করা যাবে না, তা হবে না। কোর্ট থেকে অর্ডার আসলে সেটি প্রয়োজনীয় ও নিষ্প্রয়োজনীয় নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করবো। পুলিশের সঙ্গে আন অফিসিয়ালি কথা বলেছি তারা অপ্রয়োজনীয় গ্রেপ্তার করবে না। নির্বাচনের বিধি মেনেই নির্বাচন পরিচালনা করা হবে। আইন বিধি বিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন করবো। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি দাবি জানালেও ইভিএম থেকে সরে আসার কোনো পরিকল্পনা ইসির নেই। এটা সম্ভবও নয়। ইভিএমে ভোটগ্রহণে ইসি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে বিএনপি আপত্তি করেছে। তবে কমিশন তাদের বুঝিয়ে বলেছে- ইভিএম নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এখানে নীরবে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। ইভিএমে যার ভোট কেবল তিনিই দিতে পারবেন। জাল ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কোনোরকম অনিয়ম হওয়ার সুযোগ নেই। ইভিএমের মাধ্যমে সুষ্ঠু ভোটের নানা প্রটেকশন নেওয়া হয়েছে। অতীতে ব্যালট ছিনতাই, পুড়িয়ে দেওয়াসহ নানা অনিয়ম হতো। এসব থেকে পরিত্রাণের জন্যই ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। জানান, ইভিএমে আগে প্রোগ্রামিং করার সুযোগ নেই। ভোটের আগে ভোটের টাইম মেশিনে সেট করে দেয়া হয়। সকাল ৮টার আগে কেউ মেশিন খুলতে পারবে না। আবার ৫টার পরে ভোট দেয়া যাবে না। ইভিএম অনলাইন সিস্টেম না, অফলাইন সিস্টেম। ফলে কোনো সমস্যা হবে না।