নিজস্ব প্রতিবেদক : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের জ্ঞানের চোখ বন্ধ হয়ে গেছে, আমরা সত্য জানছি না।
এ সময় ‘নৈতিক সমাজ’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে আবদুস সালাম হলে আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি ছিলেন গণফোরামের সাবেক সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ড. আসিফ নজরুল।
এছাড়া নৈতিক সমাজের পক্ষে সাবেক বিচারপতি আব্দুস সালাম মামুন, মেজর অব. মুজিবুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আতিকুল রহমান, তফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মারুফ খালেদ উপস্থিত ছিলেন।
নৈতিক সমাজের নতুন এ উদ্যোগের সফলতা কামনা করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের জ্ঞানের চোখ বন্ধ হয়ে গেছে, আমরা সত্য জানছি না। অনেক দেশ আমাদের শাসন করেছে। আমরা গাড়ি ভাঙচুর চাই না, উন্মাদনা চাই না, কথা বলার ও আমার বক্তব্য তুলে ধরার অধিকার চাই। এভাবে তো একটা দেশ চলতে পারে না। আপনাদেরও বিচার হবে। সে দিন খুব বেশি দূরে না।
‘সে লক্ষ্যেই আজ নৈতিক সমাজের জন্ম। তাদের এই জন্মকে শুভকামনা জানাচ্ছি। এর মাধ্যমেই জেগে উঠবে বাংলাদেশ। আমরা পৃথিবীর এক নম্বর রাষ্ট্র হতে চাই না, আমরা বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা চাই। সমাজের প্রতিটা মানুষ যেন সুফল পায়। ’
তিনি বলেন, আমাদের এক বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল দেশে আসতে চান, কিন্তু ভিসা জটিলতায় আটকে আছে। আমাদের উন্নত রাষ্ট্র হয়ে লাভ কী তার সুফল যদি সাধারণ মানুষ না পায়। হতাশা বাদ দিয়ে আমাদের জেগে উঠতে হবে, এর মধ্যেই আমাদের মুক্তি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সাধারণ মানুষ সৎ ও সত্যের পক্ষে। এই জিনিসটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। এজন্য তরুণ সমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের সমর্থনই আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে। অসত্য, অনৈতিক, অসৎ মানুষদের সাধারণ জনগণ মেনে নেয় না, তাদের ঘৃণা করে। এজন্য অন্যায়, অসত্যের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, এসব থেকে সবাইকে মুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, আজ যে দলটি এলো সেখানে যেন অসৎ মানুষদের নেয়া না হয়। সমাজে আইনের শাসনের দুর্বলতা ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকলে আমি মনে করি অন্যায়ের পক্ষের শক্তি পরাজিত হবে।
নৈতিক সমাজ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও রাজনীতিবিদ আমসাআ আমিন বলেন, দল অনেক আছে, কিন্তু বেশির ভাগই সমস্যার অংশ। ৫০ বছরে তারা সমাধানের অংশ হতে পারেনি। সব সমস্যার মূলে রয়েছে অসুস্থ, অনৈতিক, অসৎ ও ভ্রষ্ট রাজনীতি। অর্থনৈতিক উন্নতি হলেও রাজনীতি ও সমাজ সংস্কৃতির ভয়ানক অধপতন ঘটেছে। সৎ, মেধাবী ও দূরদর্শী নেতৃত্বের খুবই প্রয়োজন। এসব প্রয়োজন পূরণ করতেই নতুন দল হিসেবে ‘নৈতিক সমাজ’ গড়ে তোলা হয়েছে।
তিনি বলেন, নৈতিক সমাজ বলিষ্ঠভাবে জনগণের মধ্যে বিচরণ করে দলকে জনপ্রিয় করে তোলার আশা রাখে। নৈতিক সমাজের রোডম্যাপ, সংক্ষেপে: ২০২১ সাল হবে সাংগঠনিক ও নিবন্ধনের বছর। ২০২২ হবে ব্যাপক প্রচার ও জনসমর্থন সৃষ্টির বছর।
তিনি বলেন, ২০২৩ সাল হবে নির্বাচন প্রস্তুতির বছর। আর ২০২৪ সালে বেশ কিছু আসন জিতে নিয়ে নৈতিক সমাজ শুরু করবে ভিশন/মিশন অর্জনের সংগ্রাম- দুই প্রজন্মের মধ্যেই বাংলাদেশকে তৃতীয় থেকে প্রথম বিশ্বমানে নিয়ে যাওয়ার সংগ্রাম।
সাননিউজ/টিএস/এম