নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ‘তৌহিদি জনতা’র বিক্ষোভে হামলায় হতাহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’ দাবি করে নিহত ‘তৌহিদি জনতার প্রতি ফোঁটা রক্তের বদলা নেওয়া হবে’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের আমির এ আহ্বান জানান। শুক্রবারের (২৬ মার্চ) হতাহতের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের ডাকা বিক্ষোভ ও হরতাল কর্মসূচি সফল করতে বিবৃতিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ঢাকার বায়তুল মোকাররম ও যাত্রাবাড়ী, চট্টগ্রামের হাটহাজারী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনরত ‘তৌহিদি জনতা’র ওপর গুলি চালিয়ে আনুমানিক ছয় জনকে শহিদ করা হয়েছে এবং গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে প্রায় চারশ প্রতিবাদী ‘তৌহিদি জনতা’কে রক্তাক্ত করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে দাবি করেন বাবুনগরী। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এভাবে পুলিশের গুলিবর্ষণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। কার নির্দেশে নিরীহ-নিরস্ত্র ছাত্রদেরকে এভাবে হামলা ও শহিদ করা হলো, এর জবাব প্রশাসনকে অবশ্যই দিতে হবে এবং অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
পুলিশের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাবুনগরী বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মোদির আগমনের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে তৌহিদি জনতা। বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনরতদের ওপর হামলার সংবাদ পাওয়া গেছে। হাটহাজারীতে আমার কলিজার টুকরা চার জন ভাইকে শহিদ করা হয়েছে। শহিদদের গা থেকে ঝরা এ রক্ত কভু বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। পুলিশের গুলিতে নিহত তৌহিদি জনতার প্রতি ফোঁটা রক্তের বদলা নেওয়া হবে।
‘তৌহিদি জনতা’র ওপর আবারও হামলা করা হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে জুনায়েদ বাবুনগরী আরও বলেন, মোদি ইস্যুতে যদি আর একজন তৌহিদি জনতার রক্ত ঝরে বা ওলামায়ে কেরামকে হামলা মামলা ও হয়রানি করা হয়, তাহলে এর প্রতিবাদে পুরো দেশে আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে। প্রয়োজনে শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে পরামর্শ করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।
সান নিউজ/এসএম