নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সুযোগ রাখা হয় নাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সোমবার (২২ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বিএনপি নেতা বেগম সেলিমা রহমান, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, খোন্দকার মাশুকুর রহমান এবং ডা. দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিনসহ দলটির অঙ্গসংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীবৃন্দের রোগমুক্তি কামনায়’ এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বিপন্ন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী মন্তব্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে স্বাধীনতা বিপন্ন। স্বাধীনতা আমরা অন্যান্য বছর যেভাবে উদযাপন করেছি, সেটুকু সুযোগ আমাদের জন্য রাখা হয় নাই। সাধারণভাবে ২৬ মার্চ প্রতিবছর পালন করি। সেই সুযোগটাও রাখা হয় নাই।
বিদেশিদের সার্টিফিকেট এখন বেশি প্রয়োজন হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কারণ মানুষের আস্থার জায়গাটা শেখ হাসিনার জন্য ক্ষীণ হয়ে গেছে। সকল দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা আসুক। ভালো কথা। এটা তো ভালো। সুবর্ণ জয়ন্তীতে আসবেন। এটা আমরা স্বাগতম জানাই। কিন্তু তাদের কারণে আমাদের ঘরে বন্দি থাকতে হবে। আমরা আমাদের উচ্ছ্বাস ও আনন্দ উপভোগ করতে পারবো না, এটা কিসের স্বাধীনতা? কি কারণে বলেছি, বিপন্ন স্বাধীনতা? এই কারণেই বলছি।
গয়েশ্বর বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী আসবেন। আবার বলেন আসবেন না। আবার বলেন, আসবেন। তিনি আসবেন। আবার সরকার না কি চায় না, তিনি আসুক। এমন একটা গুজব কিন্তু মাঠে-ঘাটে আছে। তিনি আসবেন ২৬ ও ২৭ মার্চ। নিরাপত্তার প্রশ্ন। তিনি স্বাধীনতার সুবর্ণ দিবস পালন করতে আসবেন। তিনি মন্দির ভিজিট করবেন। মন্দির তো জাতীয় ঢাকেশ্বরী মন্দির, রমনা কালী মন্দির এখানে আছে। কিন্তু তিনি গোপালগঞ্জের মন্দিরে যাবেন। তিনি সাতক্ষীরা মন্দিরে যাবেন। এর আশে-পাশের লোক এখনই ঘর ছাড়া। নিরাপত্তা বলে একটা কথা আছে। যেখানে যাবেন ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়িতে। তার ভক্ত লক্ষ লক্ষ। একটা অনুষ্ঠান হয় সাতদিন ব্যাপী। সেখানে ১০ থেকে ১৫ লাখ লোকের আগমন হয়। এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য যদি এতো লোকের আগমন হয় তাহলে স্বাস্থ্যবিধিটা কোথায় থাকবে? সেখানে স্বাস্থ্যবিধির বাধা নাই?
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, লোকে বলে, পত্রিকা বলে এবং গবেষকরা বলেন- পশ্চিমবঙ্গের বসবাসকারী মতুয়া সম্প্রদায়ের যারা এখানে ঔরস আছে তাদের সাথে মোলাকাত করতে আসছেন। এটা একটা নির্বাচনী প্রচার। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ (বাংলাদেশ)। অন্যদেশে নির্বাচনে অনেক দল অংশগ্রহণ করে, আমরা যদি একটি দলকে নির্বাচনের সুযোগ করে দেই তাহলে কি দাঁড়ায়? কি দাঁড়ায় এটা? ভবিষ্যতে তারা যদি আবার শেখ হাসিনার জন্য ভোট চাইতে আসবেন। হয়তো আসবেন না। কারণ তাদের ভোটের দরকার নাই।
খালেদা জিয়া অসুস্থ জানিয়ে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, উনি কারাবন্দীর জায়গায় গৃহবন্দি। কারাগারে থাকা অবস্থায় সরকারের যে আচরণ ছিল গৃহে থাকা অবস্থায় সরকারের একই আচরণ আছে। এক কথায় তিনি মুক্ত নন।
আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি আজগর হোসেনের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।
সান নিউজ/ টিএস/এসএস