নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ উপাধি বাতিল করলে তাকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট কর্নেল অলি আহমদ।
শনিবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
অলি আহমদ বলেন, সেনাবাহিনী ছাড়া এই দেশে স্বাধীনতা সম্ভব ছিল না। অথচ বঙ্গবন্ধুর কাছে যখন আমরা খবর পাঠিয়েছিলাম যে আমরা বিদ্রোহ করবো, তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিল, এক ইয়াহিয়া খানকে সরিয়ে আরেক ইয়াহিয়া খানকে বসাতে চাই না। আসলে লাঠিসোটা দিয়ে দেশ স্বাধীন হয় নাই, দেশ স্বাধীন করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যদের যুদ্ধের মধ্যদিয়ে।
বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করলে তাকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়ে অলি আহমদ বলেন, জিয়াউর রহমানের পেছনে লেগে লাভ নেই। জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করলে তাকে বীরশ্রেষ্ঠ হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর নামে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করছে বলে দাবি করে অলি আহমদ বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর নামে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে অনুষ্ঠান করে সিনেমা দেখানো হচ্ছে। অথচ দেশে ৩০ শতাংশ মানুষ না খেয়ে আছে, এই সিনেমা না দেখিয়ে গরীব মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করুন।
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে কর্নেল অলি বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল, এখন আবার শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনুন। গণতন্ত্র কিভাবে ফিরে আসবে সেটা নিয়ে চিন্তা করুন। আর গণতন্ত্র ফিরিয়ে না দিলে যা হবার তা হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন- মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা। চেতনা কোথা থেকে আসে। শুয়ে শুয়ে কি চেতনা আসে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তো হবে যারা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছে। আওয়ামী লীগের একজন নেতার নাম বলেন যিনি বীর উত্তম, বীর বিক্রম বা বীর প্রতীক ছিলেন। একজন সেক্টর কমান্ডারের নাম বলেন যিনি আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। সবাইতো সেনাবাহিনীর। সেনাবাহিনী না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় ক্র্যাকডাউনের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেজর জিয়ার নেতৃত্বে আমরা অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকরা বিদ্রোহ করি। জিয়াউর রহমানের ঘোষণা শোনার পর সবার মধ্যে চেতনা আসলো যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে আমাদের তাতে অংশ নিতে হবে। ২৯ মার্চের আগে কেউ যুদ্ধে শামিল হয়নি।
কর্নেল অলি বলেন, আমি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বসে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রেডি করি। জিয়াউর রহমানের যদি দুরভিসন্ধি থাকতো তাহলে বঙ্গবন্ধুর নাম নেয়ার কোন প্রশ্ন আসতো না। ২৭ মার্চ সন্ধ্যার পর আমি এবং জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রেডি করলাম এরপর তিনি রেডিওতে ঘোষণা দিলেন। এই ঘোষণা প্রতি এক ঘণ্টা পর পর প্রচারের জন্য শমসের মুবিনকে দায়িত্ব দেয়া হলো। যাতে বাংলার জনগণ সবাই শুনতে পারে।
এ সময় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
সান নিউজ/টিএস/এসএস